কক্সবাজারের টেকনাফের চাকমারকুল ও উনচিপ্রাং ক্যাম্পে ৪০ হাজার রোহিঙ্গা ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন। পাহাড় কেটে ব্লক তৈরি করে ঢালে ঢালে বসতি গড়েন রোহিঙ্গারা।
পরিবেশগত দিক থেকে দুটি ক্যাম্প পাহাড়ের পাদদেশে হওয়ায় সেখানে বসবাসের জায়গা করা সঠিক হয়নি। আবার বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসের কারণে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
পরিবেশ অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে দুই পাহাড়ে রোহিঙ্গা বসতি নিয়ে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। দ্রুত দুই ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার বিষয়েও মতামত দেওয়া হয়েছে এতে।
রোহিঙ্গাদের চাকমারকুল ক্যাম্পটি ২১ নম্বর ক্যাম্প হিসেবে পরিচিত। এই জায়গার মালিক বন বিভাগ। ক্যাম্পে মোট জমির পরিমাণ ৯৯ দশমিক ৮৬ একর। ক্যাম্পটির পুরো এলাকা পাহাড়ে অবস্থিত।
রোহিঙ্গাদের জন্য সেখানে দিনে আনুমানিক তিন লাখ ৩০ হাজার লিটার পানি প্রয়োজন। এটা গভীর নলকূপের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়।
এছাড়া ২২ নম্বর ক্যাম্প হিসেবে পরিচিত উনচিপ্রাং-এ পানি নিষ্কাশনের কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই।
গভীর নলকূপের মাধ্যমে ওই ক্যাম্পে বসবাসরতদের জন্য দিনে আনুমানিক ৪৪ লাখ চার হাজার লিটার পানি উত্তোলন করা হয়। এছাড়া রোহিঙ্গাদের বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য সেখানে কোনো এসটিপি স্থাপন করা হয়নি।
স্থানীয়রা বলছেন, অস্ত্র, মাদক পাচারসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত রোহিঙ্গাদের কেউ কেউ। অনেকেই অপরাধ ঘটানোর পর কৌশলগত কারণে চাকমারকুল-উনচিপ্রাং ক্যাম্পে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
পাঠকের মতামত