প্রকাশিত: ২৩/০৪/২০২০ ৬:২১ পিএম

আমি জানি স্থানীয় অনেক এনজিও আছে, যারা স্থানীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য কর্মীদের সহযোগিতা করার জন্য পিপিপিই, স্যানিটাইজার এবং মাস্ক কিনে দিতে চায়। এমনকি সেটা তাদের নিজেদের বেতন দি থেকে দিয়ে হলেও। কিন্তু সব জায়গাতেই কিছু প্রতারক আছে, এসব প্রতারক বিশেষ করে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে দাবি করছে যে, তারা স্বল্পমূল্যে এসব পণ্য সরবরাহ করছে, এবং সেগুলো সরকার, আইএসও বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান অনুযায়ী তৈরি। কিন্তু সেগুলো হাতে পাওয়ার পড় দেখা যায়, সেখানে কোন কোম্পানির কোন ট্রেড মার্ক বা সিল নাই!

খেয়াল করে দেখবেন, তারা সবসময় নগদে লেনদেন করতে চায়, ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে তারা লেনদেন করতে চায় না, কারণ তারা প্রতারণার কোন প্রমাণ ও সূত্র রাখতে চায় না । এমনকি তারা আপনাকে অনলাইনে ভুয়া ট্রেড মার্ক, ট্যাক্স সার্টিফিকেট ইত্যাদি দেখায়, একটু খেয়াল করলেই স্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে- এগুলো বিভিন্ন সফটওয়ার ব্যবাহার করে বানানো। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে আমাদের কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে, এসব পণ্য যেখানে সরবরাহ করেছি, সেখানে ইতিমধ্যে আমরা বিষয়টি অবহিত এবং সাবধান করেছি। অবশ্য আমাদের কিছু ভাল অভিজ্ঞতাও আছে, আমাদের একজন বন্ধু সরবরাহকারী আছেন, যিনি তাঁর সর্বোচ্চটা আমাদের দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

সুতরাং (১) চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত সকল দায়িত্বশীলদের প্রতি আমার অনুরোধ, সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে যাচাই-বাছাই করুন, (২) সরকারকে অনুরোধ করছি- চিকিৎসা সরবরাহ বিভাগ এবং ঔষধ প্রশাসন বিভাগকে পিপিই, মাস্ক, সেনিটাইজারের মানের বিষয়ে নিশ্চিত হতে কী করণীয় তা জানিয়ে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করুন, এবং (৩ ) আমাদের জেলা প্রশাসক এবং সিভিল সার্জনদেরকে এই বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি, এনজিওগুলো কিভাবে এই বিষয়ে আপনাদেরকে সবচেয়ে ভালো সাহায্য করতে পারে সে বিষয়ে পরামর্শ দিন।

জরুরি প্রয়োজনের সুযোগ এবং আমাদের কল্যাণ করার মানসিকতা থেকে আমরা যেন প্রতারিত না হই। দ্রুত মুনাফা অর্জনের জন্য কাউকে বিপদের দিকে ঠেলে দেওয়া উচিৎ নয়।

লেখক:-
রেজাউল করিম চৌধুরী
নির্বাহী পরিচালক,
কোস্ট ট্রাস্ট।

পাঠকের মতামত

আসলে কি বয়কট করছি!

আমরা বাঙালি নতুন ইস্যু পেলে দৌড়ে তা দেখার জন্য উৎকণ্ঠা প্রকাশ করি। আজ বয়কট নিয়ে ...

নতুন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানোই যখন বড় চ্যালেঞ্জ!

মিয়ানমারের তিনটি প্রধান এথনিক রেজিস্ট্যান্ট গ্রুপ—তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ), মিয়ানমার ন্যাশনাল এলায়েন্স (এমএমডিএ) এবং ...