মিয়ানমারে অং সান সুচির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের পর সাধারণ মানুষের ওপর নৃশংস দমন-পীড়নের অভিযোগে দেশটির সেনাবাহিনীর ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। শুক্রবার আলাদা বিবৃতিতে তিনটি দেশ মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে কয়েকটি কোম্পানি এবং একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়। খবর রয়টার্সের।
ব্রিটিশ সরকার নতুন এই অবরোধের ঘোষণায় ডা. অং মোয় মিন্ট, অং হদ্মাইং ও এবং জেনারেল তুন অংয়ের সম্পদ জব্দ করাসহ যুক্তরাজ্যে তাদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ ছাড়া ডাইনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেড, মিয়ানমার কেমিক্যাল অ্যান্ড মেশিনারি কোম্পানি লিমিটেড এবং মিয়া উইন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সম্পদ জব্দের ঘোষণাও দিয়েছে যুক্তরাজ্য। এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।
কানাডা তাদের ঘোষণায় জানায়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর জন্য অস্ত্র ক্রয় এবং সরবরাহের জন্য দায়ী চার ব্যক্তি এবং দুটি কোম্পানির বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বিতভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে অভিযুক্ত তিন অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত দুটি কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ থাকা অস্ত্র ব্যবসায়ী তাই জার ওপরও নতুন এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এ ছাড়া মিয়ানমারের দুটি শহরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগে দুই কমান্ডারসহ দেশটির সেনাবাহিনীর ৬৬তম লাইট ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের ওপরও অবরোধ আরোপ করা হয়েছে। মিয়ানমারে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের পর থেকেই দেশটির জান্তা প্রধান মিন অং হ্লায়িং এবং তার সরকারের অন্যান্য সদস্যদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার নিষেধাজ্ঞা ছিল।
পাঠকের মতামত