মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় পাওয়া রোহিঙ্গাদের জন্ম সনদ দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ।
এ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিকালে রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
শুনানিকালে আদালত প্রশ্ন রেখে বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি জন্ম সনদ কীভাবে পান? তারা তো এদেশের নাগরিকই না।
পরে রোহিঙ্গাদের জন্ম সনদ দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বান্দরবনের ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের সচিব এরশাদুল হকের জামিন স্থগিত করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
এর আগে বান্দরবনের নাইক্ষাংছড়ি থানার ৩ নম্বর ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোহাম্মদ এরশাদুল হকের বিরুদ্ধে একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ অভিযোগ দায়ের করেন।
২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি দায়ের করা মামলার এজহারে বলা হয়, সচিব এরশাদুল হক চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে রোহিঙ্গাদের জন্ম সনদ এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করেছেন। পরবর্তী সময়ে ঘটনার তদন্ত হয়। তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এই মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন এরশাদুল হক।
তবে এরশাদুলের জামিনের মেয়াদ শেষ হলেও তিনি আত্মসমর্পণ করেননি। পরে গত ১ মার্চ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এরপর ৪ এপ্রিল হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ থেকে জামিন পান এরশাদুল হক। হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ তার জামিন স্থগিত করে দেন। সুত্র: বাংলা ট্রিবিউন
পাঠকের মতামত