উখিয়া-টেকনাফের ৩৪ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার রোহিঙ্গা কৌশলে বের হয়ে পালিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এতের কিছু সংখ্যক আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে আটক হলেও বেশির ভাগ রোহিঙ্গা চলে যাচ্ছে নিরাপদ গন্তব্যে।
হঠাৎ রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দলবেঁধে রোহিঙ্গারা লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নাগরিক সমাজ। ক্যাম্পে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় তিনটি এপিবিএন পুলিশের পূর্ণাঙ্গ ইউনিট তারপরও বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা কাটাতারের বেড়া পার হয়ে প্রতিদিন বাইরে বেরিয়ে পড়ার ঘটনায় সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে ।
এদিকে গতকাল ম বুধবার সকালে পালিয়ে যাওয়ার সময় ১২৮জন সহ গত ৩ দিনে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩১২জনকে আটক করে কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে ফেরত পাঠিয়েছে উখিয়া থানা পুলিশ।
পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ক্যাম্প থেকে যে ভাবে রোহিঙ্গারা সারাদেশে ছড়িয়ে যাচ্ছে আগামীতে এমন কোন জেলা বা উপজেলা থাকবেনা যেখানে রোহিঙ্গা পাওয়া যাবেনা। তাই রোহিঙ্গারা যাতে ক্যাম্প থেকে সহজে বের হতে না পারে সে ব্যাপারে ক্যাম্প প্রশাসনকে আরো কঠোর হওয়ার আহবান জানান।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহাম্মদ সঞ্জুর মোরশেদ বলেন, ক্যাম্প থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় উখিয়া স্টেশনের আশেপাশে অভিযান চালিয়ে ১২৮জনসহ গত তিন দিনে ৩১২জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে এসব রোহিঙ্গাদের কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হয়েছে৷
এদিকে গত ৫ এপ্রিল মঙ্গলবার উখিয়ার আশে-পাশে অভিযান চালিয়ে ৮০জন রোহিঙ্গাকে আটক করে উখিয়া থানা পুলিশ। এর আগে ৪ ও ৩ এপ্রিল একই ভাবে ক্যাম্প থেকে পালানোর সময় অভিযান চালিয়ে ১৮৪জন রোহিঙ্গা নাগরিকসহ ৬ দালালকে আটক করে পুলিশ। অন্যদিকে ৪ এপ্রিল টেকনাফ থানা পুলিশ ৫০জন রোহিঙ্গাকে আটক করে ক্যাম্পে ফেরত পাঠায়। তারও আগে ২১ মার্চ কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপে মালয়েশিয়াগামী ট্রলার থেকে ১০০ রোহিঙ্গাকে আটক করে পুলিশ। এর ৪দিন পরে গত ২৫ মার্চ টেকনাফের বাহারছড়া উপকূল থেকে ৫৪জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ শিশুকে আটক করে। এসব রোহিঙ্গারাও ক্যাম্প থেকে পালিয়ে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
পাঠকের মতামত