অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে দিনাজপুরের পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক বিষ্ণু চন্দ্র বর্মণ (৩৩) ও পুলিশ সদস্য ফেরাজুল ইসলামকে (৩০) সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ আগষ্ট) বিকেলে তাৎক্ষনিক তাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
সহকারী উপ-পরিদর্শক বিষ্ণু চন্দ্র বর্মণের বাড়ি কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় এবং পুলিশ সদস্য ফেরাজুল ইসলামের বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায়।
পার্বতীপুর শহরের বাবুপাড়া মহল্লার রেল হাসপাতালের আবাসিক কোয়ার্টারে দীর্ঘদিন ধরে সস্ত্রীক বসবাস করে আসছিলেন পুলিশ সদস্য ফেরাজুল ইসলাম।
এলাকার লোকজন জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে মঙ্গলবার সকালে স্ত্রীকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ সদস্য ফেরাজুল ইসলাম। দুপুর ১টায় তার স্ত্রীর অসুস্থতার কথা বলে তিনি পাশের ধুপিপাড়া মহল্লার পূর্বপরিচিত এক তরুণীকে (১৯) লোক মারফত তার বাসায় ডেকে পাঠান। এসময় স্ত্রীর অনুপস্থিতির সুযোগে পুলিশ সদস্য ফেরাজুল ও তার সহকর্মী সহকারী উপ-পরিদর্শক বিষ্ণু চন্দ্র বর্মণ ওই তরুনীর সঙ্গে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হন। ঘটনাটি টের পেয়ে এলাকাবাসী বাসা ঘেরাও করে ওই তরুণীসহ তাদের আটক করে গণপিটুনি দেয়। এসময় উত্তেজিত জনতা ফেরাজুলের বাসার আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে ফেরাজুল পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তরুনী ও মোটরসাইকেলসহ বিষ্ণু চন্দ্র বর্মণকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পার্বতীপুর জিআরপি থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আ. সালাম সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার পরপরই বিষয়টি সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলার পুলিশ সুপার সিদ্দিকি তাঞ্জিলুর রহমানকে জানানো হলে তাৎক্ষণিক সহকারী উপরিদর্শক বিষ্ণু চন্দ্র বর্মণ ও পুলিশ সদস্য ফেরাজুল ইসলামকে সৈয়দপুর জিআরপি জেলা পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তিনি জানান, পরবর্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনায় জড়িত দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।