ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের নির্দেশে এবার এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার গভীর রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের রণজিতপুর গ্রামের একটি বাগানে ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে রাতেই মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।
এ ঘটনায় খানপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফকির ফহম উদ্দিনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা করেছেন মেয়েটির বড় বোন। ফহম উদ্দিন খানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাৎ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে মেয়েটির চিকিৎসার খোঁজখবর ও জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। দুপুরে হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার রাতে মারধর ও ধর্ষণের শিকার হওয়া এক তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
চিকিৎসাধীন ওই তরুণী জানান, তার বাড়ি খুলনার তেরখাদা উপজেলার বসন্দরিতলা গ্রামে। শুক্রবার বাগেরহাট সদরের খানপুর ইউনিয়নের উত্তর খানপুর গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসেন তিনি।
মেয়েটি আরও জানান, ‘বোনের সঙ্গে ঈদের কেনাকাটা করে বুধবার রাতে ভ্যানে চড়ে বাড়ি ফিরছিলাম। পথে রণজিতপুর গ্রামের কাছে তিনটি মোটরসাইকেল নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ আটজন ভ্যানের গতিরোধ করে। তারা আমাদের দুই বোনকে মারধর করে। পরে আমাকে ভ্যান থেকে নামিয়ে পাশের একটি বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে চেয়ারম্যান দাঁড়িয়ে থেকে তার সহযোগীদের আমাকে ধর্ষণ করতে বললে তারা তিনজনে ধর্ষণ করে চলে যায়।’
খানপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফকির ফহম উদ্দিন ছাড়া অন্য কাউকে চিনতে পারেননি দাবি করে ওই তরুণী জানান, পরে তার বোন স্থানীয় লোকজন নিয়ে তাকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ফকির ফহম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার রাতে আমার লোকজন নিয়ে ওই পথ দিয়ে আসার সময় ওই মেয়ে ও তার বোনকে দেখি। ওই পরিবারের কারণে আমার গ্রামের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, তাই ভ্যানচালককে ওদের ভ্যানে না নিতে গালমন্দ করলে ওরা চলে যায়।’
ফহম উদ্দিন আও বলেন, ‘পরে জানতে পারি আমার রাজনৈতিক দলের প্রতিপক্ষ আমাকে ও আমার সমর্থকদের ফাঁসাতে মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেছে।’
পাঠকের মতামত