নিউজ ডেস্ক::
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে গ্রাম্য সালিশে ধর্ষিতাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা ও শারীরিক শাস্তি দিয়েছেন গ্রাম্য মাতাব্বররা। ওই টাকা স্থানীয় ক্লাবের উন্নয়নে ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য।
শনিবার বিকালে উপজেলার মীরনগর গ্রামে মো. চান মিয়ার বাড়িতে অনুষ্ঠিত এক শালিশ বৈঠকে এ রায় দেয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে মীরনগর গ্রামের জিন্নত আলীর ছেলে মো. সিরাজ মিয়া (৩৫) এক গৃহবধূকে (৩০) এলাকার জনৈক বারেক মিয়ার পাটক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে।
এসময় স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ধর্ষক পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে ইউপি সদস্য মো. হেলাল উদ্দিনের জিম্মায় রাখেন।
এ ঘটনায় শনিবার বিকালে ইউপি সদস্য মো. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এক সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সালিশে ধর্ষক সিরাজসহ তার অভিভাবককে হাজির করা হয়।
সালিশে ধর্ষক ও ধর্ষিতাকে তাদের অভিভাবকের মাধ্যমে শারীরিক শাস্তি দেয়া হয়। একই সঙ্গে ধর্ষকের ৩০ হাজার টাকা ও ধর্ষিতার ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ইউপি সদস্য মো. হেলাল উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্তদের বিচারে তাদের অভিভাবকরা শাসন করেছেন। আর জরিমানার টাকা স্থানীয় ক্লাবের উন্নয়নে ব্যয় করা হবে বলে ওই ইউপি সদস্য জানান।
এ ব্যাপারে নাগরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খান হাসান মোস্তফার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠকের মতামত