শাহিদ মোস্তফা শাহিদ,কক্সবাজার সদর::
আলিশান বেতন,রেশন, যাতায়ত,চিকিংসা খরচ নানাবিধ সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে সদরের চৌফলদন্ডী এলাকার আবদুল মালেক নামের একব্যক্তি। প্রাপ্ত টাকা ফেরত পেতে বিভিন্ন দপ্তরের ধর্না দিচ্ছে ভোক্তভোগীরা। অভিযোগে জানা যায়,ইসলামাবাদ খোদাইবাড়ী এলাকার মৃত উমর মিয়ার পুত্র জিয়াউর রহমান জিয়া,হাজ্বী ছৈয়দ আলমের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম,মৃত কালা মিয়ার পুত্র মোঃ আলম,মৃত চাঁদ মিয়ার পুত্র নুর আহম্মদ ড্রাইভারের কাছ থেকে বিভিন্ন সুবিধার কথা বলে মীর আকতার গ্রুপের (বর্তমানে কক্সবাজার আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর সংস্কার কাজে নিয়োজিত) সুপারভাইজার পরিচয়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে জনপ্রতি বিশ হাজার করে মোট আঁশি হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। বিষয়টি ভোক্তভোগীরা আঁচ করতে পেরে উক্ত আবদুল মালেককে চাকরির জন্য বারবার বললে আজ হবে কাল হবে বলে সময় ক্ষেপন করতে থাকে।তারা একাধিকবার বিষয়টি তাকে বলার পরও তিন মাস ধরে কোন ধরনের চাকরি দিতে না পারায় প্রতারিত হয়েছে মর্মে স্থানীয় এমইউপিকে মৌখিক ভাবে জানালে উভয় পক্ষের সিন্ধান্তে আবদুল মালেক তাদেরকে ৫ই ফেব্রুয়ারী টাকা ফেরত প্রদান করবেন বলে অঙ্গীকার করেন। এ পর্যন্ত টাকা পরিশোধ না করে উল্টো টাকা পাবে না বলে দাবী করে আবদুল মালেক । এ ব্যাপারে উক্ত মালেকের সাথে ০১৮৭৮৩৮০০৩৪,০১৭২৫১৫৯৬৩১ নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি ৮০ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন বিবিধ খরচের জন্য অল্প টাকা নেওয়া হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে ভোক্তভোগী জিয়াউর রহমান জিয়া জানান,পরিচিত লোক বলে বিশ্বাস রেখে টাকা গুলো দিয়েছিলাম।এখন সে বিশ্বাস ভঙ্গ করে প্রতারনার আশ্রয় নিয়েছে অথচ সব ডকুমেন্ট আমার কাছে রয়েছে। ইসলামাবাদ ৭ ওয়ার্ডের এমইউপি আবু বক্কর ছিদ্দিক বান্ডি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
পাঠকের মতামত