সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি::
কক্সবাজার জেলার বাণিজ্যিক এলাকা ঈদগাঁওর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে। হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে ইয়াবা, মদ ও হেরোইন। বর্তমানে পানের দোকান থেকে শুরু করে বৃহত্তর ঈদগাঁওর গ্রামেগঞ্জে মরণ নেশা ইয়াবাই যুব সমাজকে ধ্বংস করে ফেলেছে। স্থানীয় প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করে থাকায় দিন দিন এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। দিন দিন যুব সমাজ মরণ নেশা ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা, মদ, আফিমসহ অপরাধ জগতে পা বাড়াচ্ছে। বিশেষ করে ঈদগাঁও ইউনিয়নের গরুর বাজার, জাগির পাড়া সড়ক, কলেজ গেইট, দরগাহ পাড়া সড়ক, ইসলামাবাদের আলোচিত খুশির শিয়া, তেতুলতলি, ফকির হাট বাজার, হাসির দিঘী, বাসস্টেশনের লাল ব্রীজ, হরিপুর, বাঁশঘাটা, পোকখালী ইউনিয়নের মুসলিম বাজার, নাইক্ষ্যংদিয়ার গোমাতলী, চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের নতুন মহাল, ভাঙ্গামুরা, মাঝের পাড়া, নাইক্ষ্যংদিয়া সড়ক, উপকূলীয় এলাকা, চৌফলদন্ডী সেতু এলাকা, জালালাবাদের মোহন বিলা, ফরাজী পাড়া, ইসলামপুরের বটতলী এলাকা, বামন কাটাসহ একাধিক এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে এ মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অনেকে প্রতিবাদ করতে গিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের কবল থেকে রেহাই পাচ্ছে না। বিশেষ করে ইসলামাবাদের খুশির শিয়া এলাকার ৪ বোনের নিয়ন্ত্রণে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ইতিপূর্বে ফকির হাট বাজার এলাকার সাতকানিয়ার মোটর সাইকেল আরোহী এক ব্যক্তিকে জিম্মি করে ২০ হাজার ইয়াবা লূটের ঘটনাও ঘটে। বর্তমানে ঐ ২০ হাজার ইয়াবা লূটের ঘটনায় দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া গরুর বাজার এলাকার শামসুইয়াসহ একাধিক গড ফাদার পাইকারী হারে ইয়াবাসহ যাবতীয় মাদক বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। দু’ মাদক স¤্রাট শাইয়্যা ও গফুরইয্যা দীর্ঘ এক যুগ যাবত তাদের এ ব্যবসা চালিয়ে আসলেও বর্তমানে সে হাল ধরছে তাদের ছেলেও জামাতারা। বর্তমানে ঈদগাঁও দরগাহ পাড়া সড়ক দিয়ে সন্ধ্যা হলেই মানুষ মাদকের দূর্গন্ধে চলাফেরা করতে পারছে না। এছাড়া ঐ এলাকায় সন্ধ্যা হলেই পতিতাদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মত। সম্প্রতি ঈদগাঁও পুলিশ ইসলামাবাদ আউলিয়াবাদের আমেনা খাতুন, হরিপুরের শামসুল আলম ও গরুর বাজার এলাকার শাইয়ার পুত্র গ্রেফতার হলেও বর্তমানে এ ব্যবসার মুলে রয়েছে আলোচিত খুশির শিয়ার ৪ বোন। এছাড়া পোকখালী ইউনিয়নের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকার এক প্রভাবশালী পুত্র বার্মাইয়া মহিলার মাধ্যমে এ ব্যবসা অব্যাহত রেখেছে। স্থানীয় পুলিশ অভিযান না চালালে গোটা এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে। তাই এলাকাবাসীর দাবী, কে বা কারা বা কিভাবে বার্মা থেকে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক ঈদগাঁওতে এনে পাইকারী হারে বিক্রি করছে তা প্রশাসনের জানা রয়েছে। পুরো এলাকায় পুলিশ টহল অব্যাহত রাখলে অপরাধীরা পার পাবে না। তাই বর্ণিত এলাকাগুলোতে পুলিশী অভিযান জরুরী হয়ে পড়েছে।
পাঠকের মতামত