উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১/১১/২০২৪ ৭:৫৬ এএম

উখিয়ায় যোগদানের আগেই বিতর্কিত ইউএনও সিফাতকে আবারও বদলি করা হয়েছে। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা থেকে উখিয়ায় বদলি করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাতউদ্দিনকে।

তবে উখিয়ায় যোগদান না করেই পুনরায় বদলি হলেন বিতর্কিত ৩৪ বিসিএস’এর এই কর্মকর্তা।

আজ রবিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষণ-১ অধিশাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ মামুন শিবলী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিফাতউদ্দিনকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ পরিত্যক্ত সম্পদ ব্যবস্থাপনা বোর্ড এর সিনিয়র সহকারী কমিশনার পদে বদলি করা হয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে সিফাতকে মুরাদনগর থেকে বিশেষায়িত উপজেলা উখিয়ায় পদায়ন করা হয়েছিল।

এদিকে একই প্রজ্ঞাপনে উখিয়ার বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেনকে বদলি করা হয় রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায়।

আলোচিত ইউএনও সিফাতের উখিয়ায় পদায়ন নিয়ে ৮ নভেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে টনক নড়ে প্রশাসনের। যার ফলশ্রুতিতে ফের বদলি করা হয় তাকে।

জানা গেছে, কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আত্মগোপনে থাকা জাহাঙ্গীর আলম সরকার ও মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান আহসানুল আলম সরকার কিশোরের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিতি আছে ইউএনও সিফাত উদ্দিনের।

অভিযোগ রয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের ওই দুই নেতার (পিতা-পুত্র) তথা দলটির পক্ষাবলম্বন করেছিলেন ইউএনও সিফাত উদ্দিন।

এর আগে চলতি বছরের ৮ এপ্রিল মুরাদনগরে যোগদানের পর শেখ মুজিবের মুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করে সিফাত নিজেকে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান দাবি করেন।

স্থানীয়দের দাবি, অনিয়ম-দুর্নীতির ভাগবাঁটোয়ারার অংশ পেতে সদ্য পতিত এমপি জাহাঙ্গীর আলম এবং তার ছেলে অপসারিত উপজেলা চেয়ারম্যান কিশোরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মুরাদনগরে তিনি নানা অপকর্ম শুরু করেন।

এদিকে দায়িত্বশীল একটি সূত্রে বলছে, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মাধ্যমে টিআর, কাবিখা, ইজিপিপিসহ ওই সেক্টর ৫% কমিশন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের যে কোনো ফাইল থেকে স্বাক্ষরে ২% হারে কমিশন সিফাতকে দিতে হতো।

পাঠকের মতামত