বিশেষ প্রতিবেদক::
সারা দেশ ব্যাপী সরকার যখন জঙ্গী নিমূলে কটোর অবস্থানে, টিক ওই সময় জঙ্গীরা নতুন কৌশলে গ্রামে গঞ্জে ঢুকে পড়ে বৃহত্তর নাশকতার পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি ওই জঙ্গী গোষ্টি ঢাকা গুলশান হলি আর্টিজান বেকারীতে বাংলাদেশী ও বিদেশী ২০ নাগরিককে অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে নির্মম ভাবে হত্যা করে। এ সময় প্রতিরোধ করতে গিয়ে দেশের ২ বীর পুলিশ কর্মকর্তা শহীদ হন। পরে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ওই জঙ্গি নিমূলে সক্ষম হয় যৌথ বাহিনী। এর সূত্র ধরে, কক্সবাজারের উখিয়ায় জঙ্গীদের অর্থায়নে গ্রামে গঞ্জে শত শত টিউবওয়েল বিতরনের পাশাপাশি সরকারকে বিপাকে ফেলার জন্য নানা কৌশল হাতে নিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জানা যায়, উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের উত্তর পুকুরিয়া গ্রামের আবুল বশরের ছেলে বিএনপি নেতা মোঃ খাইরু মিস্ত্রী প্রকাশ জঙ্গী খাইরু দীর্ঘ ৬ বছর ধরে চট্রগ্রাম বিভাগের জঙ্গীদের আঞ্চলিক কমান্ডার ও তৎকালিন সময়ে টেকনাফ থেকে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক হওয়া বহুল আলোচিত জঙ্গী নেতা হাফেজ ছালাউল ইসলামের চেইন আব কমান্ড হিসাবে খাইরু যোগদানের পর থেকে উখিয়া উপজেলার অন্তরগত উত্তর পকুরিয়া , ভালুকিয়া, তেলীপাড়া, কামারিয়ারবিল, রাজাপালং ইউনিয়নের টি এনটি গুচ্ছ গ্রাম,সিকদার বিল ,দরগাহ বিল, টাইপালং , সোনার পাড়া, রতœাপালং ,মরিচ্যা সহ বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গীদের অর্থের টাকা দিয়ে টিউবওয়েল ও নগদ অর্থ বিতরন করে সরকারের উন্নয়ন মূল্লক কাজে বাধা গ্রস্থ করা ও নাশকতার লক্ষে সু – কৌশলে গ্রামের সাধারন লোক জনের সাথে দফায় দফায় গোপন বৈঠকের খবর ও জানা গেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জঙ্গীদের অর্থায়নে টিউবওয়েল বিতরন করেছে উত্তর পুকুরিয়া গ্রামের মৃত আলী হোছনের ছেলে সিরাজুল হক,মৃত মৌলভী রশিদ আহম্মদের ছেলে ইউছুপ, মৃত জসিম উদ্দিনের বাড়ীতে, মৃত হাজী মুখগোল আলী মন্সীর ছেলে হাজী জাফর আলম, জাফর আলমের ছেলে আবুল আলা, মৃত কালা মিয়ার ছেলে নুরুল হোছাইন মিস্ত্রির বাড়ী সহ কয়েক হাজার বাড়ীতে জঙ্গীদের অর্থায়নে এ টিউবওয়েল বিতরন করার পাশাপাশি জঙ্গী নেতা খাইরু অর্থ বিতরনের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছে পরিণত হয়েছে । সচেতন মহলরা বলেন, এক সময়ের সামান্য টিউবওয়েল মিস্ত্রি খাইরু যার নুন আন্তে পান্তা লাগত সে আজ জঙ্গীদের সাথে আতাঁত করে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। শুধু তাই নয়, সে এলাকার বেকার যুবকদের সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলে তাদের মাধ্যমে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছে বলে জানা যায়। জঙ্গী খাইরুর কাছ থেকে জানতে চাইলে সে টিউবওয়েল বিতরনের কথা স্বীকার করলে ও সরকার বিরোধী গোপন বৈঠক ও নাশকতার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তবে জানা গেছে, উখিয়া সদরে অবস্থিত হোছাইনিয়া লাইব্রীর ভাই তোয়াইঙ্গা কাটা কওমী মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মৌলানা মোঃ আলী জঙ্গির অর্থায়নে জেলার বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গির অর্থায়নে মসজিদ নির্মান করার অভিযোগ রয়েছে। উপজেলা আওযামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং পুলিশ কোন রহস্যজনক কারনে খাইরুকে গ্রেপ্তার করছেনা তা আমি জানি না। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওসি (তদন্ত) মোঃ কায় কিসলু বলেন, এ সব বিষয়ে তার জানা নেই।
কক্সবাজারের মহেশখালীতে রাতে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে বাধা দেয়ায় প্রেমিকার চাচাতো ভাইকে হত্যা করেছে এক ...
পাঠকের মতামত