নিজস্ব প্রতিবেদক
উখিয়া জালিয়াপালং ইউনিয়নের মাদারবনিয়াতে এক ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। উক্ত ছাত্রী স্থানীয় জাফর আলমের কন্যা নিফা (ছদ্দনাম)(১০), সে স্থানীয় মাদারবনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী। এদিকে ধর্ষিতা ছাত্রী শিশু নিফা (ছদ্দনাম) জানান গত কয়েক মাস যাবত আমার বাবা একটি মামলায় কারাগারে আছে, তার সুযোগে গত ২৫ জুন সোমবার রাতে বাড়ির সবাই যার যার মতে করে ঘুমিয়ে পড়ি, সেই দিন গভীরে রাতে আমাদের ঘরের দরজার শিকল খুলে স্থানীয় চাকমা পাড়ার চোয়াইনসুর পূত্র লাতু চাকমা, কেজাইয়ংনের পূত্র মঙ্গলা চাকমা, আর রবিন চাকমার পূত্র তাইমং চাকমা আমাদের ঘরে প্রবেশ করে, আর তাদের দেখে আমরা চিৎকার করলে মঙ্গলা ও তাইমং মিলে আমার মাকে বেধেঁ রাখে, তার মধ্যে লাতু চাকমা প্রথমে আমার গায়ের কাপড় জোরপূর্বক ছিঁড়ে ফেলে ধর্ষণ করে, তখন রাতে অনেক বৃষ্ট্রি হচ্ছিল, পাশের কেউ আমাদের চিৎকার শুনেনি,,তার কিছুক্ষন পর বৃষ্ট্রির আওয়াজ কমলে আমাদের চিৎকার শুনে পাশের বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পালিয়ে যায় বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এদিকে ঘটনার কয়েক দিন পার হলেও কেন তারা থানায় কোনো মামলা করেনি এমন প্রশ্নের জবাবে ধর্ষিতার মা গুল চাম্বা জানান আমরা প্রথমে ঘটনার ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক কে জানাই, তার কাছে আমরা গরীব বলে কোনো সুবিচার না পেয়ে তার পরের দিন আমরা উখিয়া থানাতে গেলে একজন অফিসার আমাদের কে একটি মামলা করতে বলে, কিন্তু আমাদের কাছে টাকা না থাকায় কোনো মামলা না নিয়ে তিনি আমাদের অভিযোগটি ইনানী পুলিশ ফাঁড়িতে শালিশের জন্য পাঠিয়ে দেয়, এতে আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়ে বিষয়টি দুইদিন পর হলেও সাংবাদিকদের জানাই। আর এই ব্যাপারে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের জানান আমি ঢাকা থেকে থানায় এসেছি গত কাল ২৬ জুন সন্ধায়, এই রকম কোনো মামলার বিষয়ে আমার কাছে কেউ আসেনি, তবে আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি ভিকটিম পরিবারটি থানায় কার কাছে এসেছিল, আর উক্ত ঘটনার ব্যাপারে মামলা করলে ভিকটিম পরিবারকে যতাযত আইনি সহায়তা দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। আর ধর্ষিতা ছাত্রীর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পাখি আক্তার জানান আমার বিদ্যালয়ের ছাত্রীটি ন্যায় বিচার পেতে যতাযত আইনি সহায়তা করব। এই নির্মম ঘটনার ব্যাপারে উখিয়া থানা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকারুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি এই রকম কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি বলে জানান, তবে এই ঘটনার ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করলে দোষীদের বিরুদ্ধে যতাযত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান। এদিকে ধর্ষিতা শিশু ছাত্রী নিফা (ছদ্দনাম) ও তার মা উক্ত ঘটনার সুষ্ট বিচার পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।