গত ২৮ সেপ্টেম্বর হতে বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত“উখিয়া-টেকনাফে ইয়াবা সিন্ডিকেট বেপরোয়া”শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বিষয়টি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র আঁচ করতে পেরে আমি গভীর পর্যবেক্ষণে রাখি। ষড়যন্ত্রকারীদের তৃষ্ণা মেটানোর পর বলিরপাঠা আমি অভাগা সম্মানিত পাঠকদের জন্য কিছু কথা তুলে ধরছি।আমার সম্মানিত সাংবাদিক ভাইয়েরা বিভিন্ন পক্ষের কথা নিয়ে অনেক কোপাইছে। আমি অপরাধে সম্পৃক্ত নই বিধায় এতে আমার কিছু যাই আসে না। তবে আমি ছাত্র রাজনীতি ও ক্রীড়াঙ্গনে সম্পৃক্ত হওয়ায় আমার ভাবমূর্তির বিষয়ে সদয় অবগতির জন্য পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। উক্ত সংবাদের একাংশে আইন-শৃংখলা বাহিনীর ইয়াবা বিরোধী সফল অভিযানের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। যা সত্যিই প্রশংসার কিন্তু এই বাস্তব তথ্যের ভেতরে অবাস্তব তথ্য দিয়ে আইন-শৃংখলা বাহিনীকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চলছে। যা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে আমার দাদা আওয়ামী লীগ নেতা হাজী আবুল কাশেমকে নৃশংসভাবে হত্যার কারণে দীর্ঘদিনের পারিবারিক শত্র“তা,সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে পরাজিত শক্তির চক্রান্ত এবং ছাত্র রাজনীতির গ্র“পিংয়ের কারণে ঐক্যবদ্ধ চক্রান্তের বহিঃপ্রকাশ। এসব চক্রান্তকারী চক্রের সদস্যরা কে কোন অপকর্মে জড়িত তা নিরপেক্ষ তদন্ত করলে দিনের আলোর মতই স্পষ্ট হয়ে বেরিয়ে আসবে। কারো বাবা অপরাধী হলে তাঁর ছেলে-মেয়েরা অপরাধী হিসেবে গড়তে চাইনা। তিনি স্বপ্ন দেখেন তাঁর ছেলে-মেয়েরা বড় হয়ে প্রতিষ্ঠিত হোক। হয়তো কারো কপালে জুটে আবার কারো কপালে জুটেনা। আমি এমন এক নির্যাতিত-নিপীড়িত পরিবারের সম্ভাবনা হওয়ায় প্রতিপক্ষের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়েছে। তাই ফুলের কলি ফুটে উঠার আগেই গাছেই বিনষ্ট করার জোর প্রচেষ্টা চলছে। আমি আপনাদের সদয় অবগতির জানাচ্ছি আমি কোন দিন ইয়াবাসহ কোন মাদক সেবন ও বাণিজ্যে সম্পৃক্ত ছিলাম না,এখনো নেই, আপনাদের দোয়াই আগামীতেও এসব ঘৃণ্য কাজে জড়িত হবনা।
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ আমার পিতার মৃত্যুর পর সব বিরোধ ভূলে গিয়ে বাবার রেখে যাওয়া সহায়-সম্পত্তি নিয়ে আমি জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য পড়াশুনায় মনোযোগ দিই। এখন চট্টগ্রাম প্রবর্তক স্কুল এন্ড কলেজে এইচএসসির ২য়বর্ষে অধ্যয়নরত। পাশাপাশি ছাত্র রাজনীতি ও ক্রীড়া সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ি। বর্তমানে আমি লেদা স্পোর্টিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর হতে আদৌ পর্যন্ত হ্নীলা বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টূর্ণামেন্টের ২টি শিরোপা এবং হ্নীলা আন্তঃজেলা ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে নিই। বর্তমানে হ্নীলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের অর্থ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি এবং আসন্ন ২৭ অক্টোবরর হ্নীলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসেবে গণসংযোগে ব্যস্থ সময় পার করছি। আপনাদের কারো জরুরী প্রয়োজনে ফোনালাপের জন্য নিম্মোক্ত নম্বরে যোগাযোগের সবিনয় অনুরোধ করছি। এসব প্রতিহিংসাপরায়ন,শত্র“তামূলক এবং চরিত্র হননের জন্য প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আগামীতে এই জাতীয় সংবাদ পরিবেশনে সাংবাদিক ভাইদের দায়িত্বশীল হওয়ার পাশাপাশি আইন-শৃংখলা বাহিনীকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী
নুরুল আমিন ফাহিম
মোবাইল নং-০১৭৭৬-৭৫৯১৯১
সভাপতি লেদা স্পোটিং ক্লাব ও অর্থ সম্পাদক,হ্নীলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ।
পাঠকের মতামত