শহিদ রুবেল, উখিয়া::
ওআইসি (অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কনফারেন্স) মহাসচিব ইউসেফ বিন আহমাদ আল-অথাইমিন বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের সর্বাত্মক সহযোগীতা করছে। বাংলাদেশের মত ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া সহ বিশ্বের মুসলিমরাষ্ট্র সমুহকে মায়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিমদের পাশে দাড়ানোর অনুরোধ জানান। ৪ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এইসব কথা বলেন।
ওআইসি মহাসচিব ইউসেফ বিন আহমাদ আল-অথাইমিন আরো বলেন, ওআইসি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্ব প্রদান করছে। এই বিষয়ে মায়ানমার সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করছে যাতে রোহিঙ্গারা নিজেদের অধিকার ফিরে পায়। শুধু ওআইসি নয়, জাতিসংঘ, মানবাধিকার কমিশন সহ সকলকে একযোগে রোহিঙ্গাদের অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করার আহব্বান জানান। এর আগে ওআইসি মহাসচিব ইউসেফ বিন আহমাদ আল-অথাইমিন দুপুর ১২ টায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসে পৌছান ।
এইসময় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন কালে ডি – ব্লকের ৫ নং শেডের রোহিঙ্গা শিশু আসমা (৯), তাহা (১০), ফয়সাল (১২) এর সাথে তাদের শিক্ষা নিয়ে কথা বলেন এবং ছয় মাস পূর্বে মিয়ানমারের চাইলি প্রাং এলাকা থেকে আসা রোহিঙ্গা নারী মিসফালা (২২) , নাড়ীবিল এলাকা থেকে আসা আনোয়ারা বেগম (২৬) ছফি নুরের (২৫) কাছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্তমান অবস্থা সম্বন্ধে জানতে চান ।
পরে ওআইসি’র মহাসচিব ক্যাম্পে জেলা প্রশাসন ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) কর্মকর্তাসহ মায়ানমারে নির্যাতনের স্বীকার ১৭ সদস্যের রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক করেন। প্রতিনিধি দলের পক্ষে নির্যাতিত জামালিদা, জাকারিয়া, ক্যাম্প ম্যানেজমেন্ট কমিটির সহ-সভাপতি সিরাজ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুর মায়ানমারে লোমহর্ষক নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন এবং অতিসত্বর মায়ানমারের নাগরিকত্ব দিয়ে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবী জানান।
এ সময় অনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের সচিব বাকি বিল্লাহ, জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, পুলিশ সুপার একেএম ইকবাল হোসেন, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ও বিভিন্ন এনজিও’র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ওআইসি মহাসচিব ইউসেফ বিন আহমাদ আল-অথাইমিন ৪ দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন। প্রথমদিনে তিনি রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। সফরের দ্বিতীয় দিন উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন আসেন।
পাঠকের মতামত