প্রকাশিত: ১৯/০৪/২০১৭ ৬:৪৬ পিএম

আতিকুর রহমান মানিক:;

কক্সবাজার সৈকতের লাবনী পয়েন্টের দক্ষিন-পূর্বে অবস্হিত হোটেল সী-গাল’র গেইট অথবা বাউন্ডারী এলাকায় কেউ দাঁড়ালেই তেড়ে এসে কৈফিয়ত চাইত সিকিউরিটি গার্ডরা। এমন কি হোটেল বরাবর সমুদ্র সৈকতে কেউ হাঁটলেও এরা বিভিন্ন সময় বাধা দিত। এটা নাকি সী-গাল বীচ (?), তাই তাদের বোর্ডার ছাড়া আর কেউ ওখানে হাটতেও পারবেনা, এটাই নাকি ম্যানেজম্যান্টের নির্দেশ !! এ অবস্হাই চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু খোদ হোটেল বাউন্ডারীর ভিতরেই অবৈধ দখলে ছিল ৫০ শতক মূল্যবান খাস জমি। অবৈধ দখলে থাকা বিশালাকার এ খাস জমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসন অভিযান শুরু করলে ফাঁস হয় সব গোমর।
জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ১৯ এপ্রিল (বুধবার) সকাল ১০ টায় শুরু হওয়া এ উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম ও সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) পংকজ বড়ুয়া। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, অভিযান শুরু হতেই তৎপর হয়ে উঠে হোটেল ম্যানেজমেন্ট। বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলকে ব্যবহার করে অভিযান বাঁধাগ্রস্হ করার চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনমনীয় মনোভাবের ফলে উচ্ছেদ অব্যাহত থাকে।
সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার কামরুজ্জামান সোহাগ জানান, সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন সরকারী ১ নং খাস খতিয়ানভূক্ত ১০০ শতক (এক একর) খাস জমি দীর্ঘদিন জবর দখলে রেখেছিল হোটেল সী-গাল, প্রসাদ প্যারাডাইস ও তরঙ্গ রেস্তোরাসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে হোটেল সী-গাল’র সীমানা প্রাচীরের ভিতরে থাকা ৫০ শতক জমির অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ করে পিলার ও কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে নিয়ন্ত্রনে নেয়া হয়েছে। হোটেলের পূর্বদিকের গেইট, সীমানা প্রাচীর ও সংলগ্ন অন্যান্য স্হাপনা এসময় উচ্ছেদ করা হয়। সদর মডেল থানার পুলিশ ফোর্স ও কক্সবাজারস্হ ১৫ আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা অভিযানে সহায়তা করেন। সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) পংকজ বড়ুয়া জানান, অবৈধ দখলে থাকা অন্যান্য খাস জমি উদ্ধারেও পর্যায়ক্রমে অভিযান চালানো হবে।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে দুদকের অভিযান

সেবার বিপরীতে গ্রাহকদের কাছ থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে ...

সৈকতে থেকে ২০ রোহিঙ্গা আটক

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ২০ রোহিঙ্গাকে আটক করেছেন স্থানীয়রা। বুধবার (১ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার পারকি ...