উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭/১০/২০২২ ৮:১৪ এএম

বাজেট স্বল্পতা ও নানাবিধ সমস্যার কারণে অনেক দিন থেকে ঝুলে থাকা শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রধান সড়কের কাজ অবশেষে শুরু হচ্ছে। আজ শুক্রবার লালদিঘি থেকে পানবাজার পর্যন্ত ৯০ মিটার অংশের কাজ শুরুর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষ (কউক)’র অথরাইজড অফিসার প্রকৌশলী রিশাদ উন নবী। তিনি দৈনিক কক্সবাজার’কে বলেন, আজ শুক্রবার রাত ১০ টার পর থেকে পানবাজার- ফায়ার সার্ভিস অংশে কাজের সময় যানচলাচল বন্ধ থাকবে। এজন্য অন্য সড়ক দিয়ে গাড়ি চলবে।
কউক থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই একনেক সভায় কক্সবাজারের প্রধান সড়কটি অনুমোদন পায়। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৫৮ কোটি ৮১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ সময়সীমা ছিলো জুলাই ২০১৯ হতে ডিসেম্বর ২০২২ সাল পর্যন্ত। হলিডে মোড়- বাজারঘাটা- লারপাড়া (বাস স্ট্যান্ড) প্রধান সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ৫ কিলোমিটার। সড়কের বর্তমান ৮০-৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
পথচারীদের চলাচলের সুবিধার্থে ও দৃষ্টিনন্দন করতে সড়কের পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ, সাইকেল ওয়ে নির্মাণ, সবুজায়ন, ফুটওভার ব্রীজ নির্মাণ, সড়ক বাতি স্থাপন (বিদ্যুতায়ন), ফুটপাত নির্মাণ, সোসার ড্রেন নির্মাণ, সি.সি ক্যামেরা, ওয়াই ফাই সংযোগ স্থাপন করা হচ্ছে। যেগুলোর অগ্রগতি ৮০-৯০ শতাংশ।

রিশাদ উন নবী জানান, পানবাজার- ফায়ারসার্ভিস ৯০ মিটার সড়কের কাজের সময় ০৭ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ৩৫ দিন যানচলাচল বন্ধ থাকবে। ১১ নভেম্বর খুলে দেওয়া হবে। এজন্য পথচারী ও যানচলাচলের জন্য অন্যপথ খুলে দেওয়া হবে। এ অংশের কাজ শেষ হলে লালদিঘি-পান বাজার ২১০ মিটার কাজের অংশে কাজ চলবে। এজন্য ১২ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৪ দিন যানচলাচল বন্ধ থাকবে। ১৬ ডিসেম্বর সড়ক যান চলাচলের জন্যয খুলে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কক্সবাজারের পরিকল্পিত উন্নয়ন ও নাগরিকদের উন্নত সুবিধার লক্ষ্যে ২০১৬ সালে ১১ আগস্ট কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষ গঠন করা হয়। একই বছরের ১৭ আগস্ট কউকে’র নতুন চেয়ারম্যানের হিসেবে লে. কর্নেল (অব:) ফোরকান আহমেদকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি টানা ৬ বছর দায়িত্বে ছিলেন। গত ২৪ আগস্ট কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কমোডর মো. নুরুল আবছার। তাকে আগামী ৩ বছরের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়।
দৈনিক কক্সবাজার’কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছিলেন, প্রধান মন্ত্রী’র দিক নির্দেশনা অনুযায়ী কক্সবাজারকে সাজানো হবে। এই মুহুর্তে কক্সবাজারবাসী সবচেয়ে বড় সমস্যা শহরের প্রধান সড়ক। এটি শেষ করা হবে আমার প্রথম কাজ। এবছরের ডিসেম্বরের মধ্যে অবশিষ্ট কাজ শেষ করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেবো। চলমান প্রকল্পে আছে আবাসিক ভবন নির্মাণ এটিও সঠিক সময়ে শেষ করার চেষ্টা থাকবে। সাংবাদিক, চিকিৎসক, মুক্তিযোদ্ধার জন্য আবাসিক ভবনে কোটা করার চিন্তাও রয়েছে আমার। চেষ্টা থাকবে দ্রুত শুরু করার।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় কউক সভাকক্ষে কউক এর মেম্বার (ইঞ্জিনিয়ারিং) ও প্রকল্প পরিচালক এর সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কক্সবাজার মিউনিসিপালিটি এর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার পরাক্রম চাকমা, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর, কক্সবাজার ট্রাফিক বিভাগের প্রতিনিধি, কক্সবাজার সড়ক বিভাগের প্রতিনিধি, কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর প্রতিনিধি সহ সংবাদমাধ্যম, ঠিকাদারের প্রতিনিধি এবং কউক এর ইঞ্জিনিয়ারগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের হলেও এই সড়কটি কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) কাছে হস্তান্তর করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রাণালয়। সুত্র: দৈনিক কক্সবাজার

পাঠকের মতামত

ঘটনাপ্রবাহঃ কক্সবাজার

মধ্যরাতে কক্সবাজার নার্সিং কলেজের শিক্ষকদের পদত্যাগে বাধ্য করলো শিক্ষার্থীরা

কক্সবাজার নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের শিক্ষার্থীরা ফ্যাকাল্টির পুরো কমিটির পদত্যাগ চেয়ে একদফা দাবি উপস্থাপন করে। ...