উখিয়া নিউজ ডটকম::
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হত্যা-নির্যাতন-ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে রাখাইন ছেড়ে আসা রোহিঙ্গাদের সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে যাত্রীদের পরিচয়পত্র যাচাই করার জন্য কক্সবাজারের সব বাস ও পরিবহন মালিকদের নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সোমবার বলেন, ‘আমরা কক্সবাজারের আশ্রয়শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের বেরিয়ে যাওয়া ঠেকাতে চাইছি।’
ওই এলাকায় যে কোনো ধরনের পরিবহনের যাত্রীকে অবশ্যই ছবিসহ পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেকপোস্ট বসিয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
এর আগে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) এ কে এম শহীদুল হক জানান, ২৫ আগস্ট মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে নতুন করে রোহিঙ্গা আসতে শুরু করার পর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দুই শতাধিক রোহিঙ্গাকে আটক করে কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
রোহিঙ্গারা শত শত বছর ধরে রাখাইন রাজ্যে বসবাস করলেও তাঁরা যুগের পর যুগ ধরে মিয়ানমার রাষ্ট্রের নিগ্রহের শিকার। সম্প্রতি সেনা ও পুলিশ ক্যাম্পে ‘বিদ্রোহীদের হামলার’ পর রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর নতুন করে হামলা-নির্যাতন-ধর্ষণ শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। আর এতে তাদের সহযোগিতা করছে উগ্র বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদী ও মগরা।
জাতিসংঘ একে ‘জাতিগত নিধনের ধ্রুপদী উদাহরণ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। প্রায় চার লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার ছেড়ে বিপদসঙ্কুল পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী কক্সবাজার জেলায় আশ্রয় নিয়েছে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অভিযোগ, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা মুসলিম পুরুষদের ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করছে, নারীরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। গ্রামের পর গ্রাম তাঁরা জ্বালিয়ে দিচ্ছে।