প্রকাশিত: ১৯/০৯/২০১৬ ৭:৪৬ এএম

14397851_904439266355481_2141775578_n1-max-width-640-max-height-480শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার::
কক্সবাজারের রামু হিমছড়ি এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নের্তৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত।রোববার বেলা আড়াইটা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ অভিযান চলে। উচ্ছেদ অভিযানে জব্দকৃত মালামাল বন কার্যালয়ে আনার পথে মালামাল ভর্তি দু’টি মিনি ট্রাক ভাংচুর ও মালামাল লুট করেছে সরকার দলীয় একদল দুর্বৃত্ত। মারধরে আহত হয়েছে ওই মিনি ট্রাকের ২ চালক। কোরবানের ঈদের আগের রাতে আবদুল্লাহ বিদ্যুতের নের্তৃত্বে দখলবাজ চক্র বনবিভাগের মালিকানাধীন জমির উপর অবৈধ স্থাপনাগুলো গড়ে তুলেছিল।

বনবিভাগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের অধীনে কলাতলি রেঞ্জাধীন হিমছড়ি এলাকায় গত ১২ সেপ্টেম্বর কোরবানের ঈদের আগের রাতে দখলবাজ চক্র বনবিভাগের মালিকানাধীন জমির উপর অবৈধ স্থাপনাগুলো গড়ে তুলে। এসব স্থাপনা গড়ে তুলার কারণে পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরায় বাধা সৃষ্টি হয়। এধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ নেয়।

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা মোঃ আলী কবির জানান, প্রভাবশালী একটি চক্র বনবিভাগের জমি দখল করে স্থানীয় দখলবাজ চক্র কোরবানের ঈদের আগের দিন রাতে ১০/১২টি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে। ঈদের ছুঠির কারণে বনকর্মী স্বল্প ছিল। তাই বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়।

তিনি আরো জানান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোজাম্মেল হক রাসেলের নের্তৃত্বে রোববার বেলা আড়াইটা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত হিমছড়ি এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ওই সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

ডিএফও আলী কবির আরো জানিয়েছেন, উচ্ছেদ অভিযান শেষে ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা টিন, কাঠসহ বিভিন্ন মালামাল দু’টি মিনি ট্রাকে ভর্তি করে বন অফিসে আনার সময় একদল দুর্বৃত্ত দরিয়ানগর এলাকা থেকে মিনি ট্রাক দুটি ভাংচুর ও ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এসময় ২ চালককে মারধর করায় তারা গুরুতর আহত হন। অবশ্য পরে দৃর্বৃত্তরা খালি মিনি ট্রাক দু’টি ফিরিয়ে দেন।

তিনি আরো জানান, ঘটনাস্থলে থাকা দু’জন বনকর্মীকে অবরোদ্ধ করে রাখা হলে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এদেরকে উদ্ধার করেন।

প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপী অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ছাড়াও বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আলী কবির, সহকারী বন সংরক্ষক আবদুল হক আজাদ, সহকারী বন সংরক্ষক সোহেল রানাসহ রেঞ্জ ও বনবিটের কর্মীরা এবং পুলিশ দল অংশ নেন।

এদিকে, স্থানীয় একটি সুত্র জানিয়েছেন, উচ্ছেদ অভিযানের পরেই স্থানীয় আবদুল্লাহ বিদ্যুতের নের্তৃত্বে ওই দখলবাজ চক্র ফের অবৈধ স্থাপনাগুলো নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

পাঠকের মতামত

প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপনকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনী

ঢাকা, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রামুসহ সারা দেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা শান্তিপূর্ণভাবে যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘর্ষ, বাংলাদেশিসহ গুলিবিদ্ধ ৫

কক্সবাজারের উখিয়ার জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক বাংলাদেশিসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।ক্যাম্প অভ্যন্তরের থাকা ...

রামু সরকারি কলেজে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ৩ দিনে, ২ সপ্তাহেও চিঠি পাননি তদন্ত কর্মকর্তা

কক্সবাজারের রামু সরকারি কলেজের অচলাবস্থা নিরসনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে আর্থিক ক্ষমতা দেওয়ার জন্য গত ১ অক্টোবর ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বিয়ে করতে মালয়েশিয়া যাচ্ছিল দুই তরুণী

সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতিকালে কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১২ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষসহ ২০ জনকে ...

উখিয়ায় উন্মুক্ত কারাগারের জায়গা পরিদর্শনে নবনিযুক্ত ‘আইজি প্রিজন্স’

কক্সবাজারের উখিয়ায় দেশের প্রথম উন্মুক্ত কারাগারের জায়গা ও জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন নবনিযুক্ত আইজি প্রিজন্স ...