একসঙ্গে ২০ জন বর হাজির কনেবাড়িতে? গেট আটকে বিপাকে কনেপক্ষ। কে আসল বর বোঝার উপায় নেই। ‘আমার বিয়ে, আমার বিয়ে’ স্লোগান সবার। শুনতে অবাক মনে হলেও মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) এমনই ঘটনা ঘটেছে নীলফামারীর ডোমার এলাকায়।
জানা গেছে, বর পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ বটতলী নতুনপাড়া এলাকার বাসিন্দা মফিজ উদ্দীনের ছেলে হাসেম আলী আর কনে ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের হলহলিয়া পাড়া এলাকার জয়নাল আলীর মেয়ে জেরিন আক্তার।
বিয়েতে মোটরসাইকেল করে শেরওয়ানি আর পাগড়ি পরে একসঙ্গে ২০ জন হাজির হয় কনে বাড়িতে। কে আসল বর, সেটি না বুঝেই গেট আটকে বিপাকে পড়ে কনেপক্ষ। বরযাত্রীতে এত বর দেখে অবাক কনে বাড়ির লোকজনসহ আগত অতিথিরা। ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতায় বিয়ের আয়োজনে শামিলদের আনন্দের মাত্রা ছিল বহুগুণ।
বরের বন্ধু জুয়েল মিয়া বলেন, জীবনে তো আমরা অনেক বরযাত্রী গেছি, কিন্তু আজকে আমার বন্ধুর বিয়েতে এমনভাবে আসছি যে আমাদের বন্ধু ব্যতীত আমরা আরও ২০ জন বর সেজে এসেছি। আজকে আমাদের অনুভুতিটা অন্যরকম।
আরেক বন্ধু সাজু ইসলাম বলেন, বিয়েতে মানুষ বিভিন্নভাবে আনন্দ করে। আমরা এই বিয়েতে আনন্দ দেওয়া ও নেওয়ার জন্য বন্ধুর বিয়েতে আসছি। বন্ধুর বিয়েটা স্মরণীয় রাখার জন্য ২০ ুজন বর সেজে এসেছি।
দুলাল হোসেন নামে আরেকজন বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে মানুষ বিভিন্নভাবে আনন্দ নিয়ে থাকে। তবে আমরা একটু ব্যতিক্রমভাবে নেওয়ার জন্য বর সেজে এসেছি। এতে বরযাত্রী ও কনেপক্ষের সবাই অনেক আনন্দিত। আমরা আমাদের বন্ধুর নতুন জীবনে সবার কাছে দোয়া কামনা করছি।
বরযাত্রী আবুল কাশেম বলেন, যখন আমরা বাড়ি থেকে বের হইছি বউ নেওয়ার জন্য খুব আনন্দ লাগল। রাস্তায় অনেক লোকজন দেখেছে, বিভিন্ন রকম মন্তব্য করেছে। তাদের কথা আসলে বর কে নাকি একসঙ্গে এতজনের বিয়ে হচ্ছে। মেয়েও এতগুলা রেডি হয়ে আছে নাকি। আসলে আমাদের এলাকায় এ রকম বিয়ে এটাই প্রথম। সব মিলে খুব ভালো লেগেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রাশেদ ইসলাম বলেন, আশ্চর্যজনক ঘটনা। এক বিয়েতে ২০ জন বর আসতে আগে কখনো দেখিনি। অনেক মজা লেগেছে বিষয়টা। আমারও ইচ্ছে আছে এ রকমভাবে বিয়ে করার।
কনের বাবা জয়নাল আলী বলেন, সবাই আমার জামাই ও মেয়ের জন্য দোয়া করবেন। জামাইয়ের বন্ধুদের ব্যতিক্রমী আয়োজনে সবাই মজা পেয়েছে।