সাগরপথে মালয়েশিয়া ঢুকতে না পেরে ফেরত আসা সেই রোহিঙ্গারা কোয়ারেন্টিন শেষে স্ব স্ব ক্যাম্পে ফিরে গেছে।
শুক্রবার (১ মে) দুপুরে তাদের টেকনাফের কেরুনতলী ও ঘুমধুম প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টার হতে নিযে যাওয়া হয়।
গত ১৫ এপ্রিল রাতে চার শতাধিক রোহিঙ্গা বোঝাই একটি ট্রলার টেকনাফের বাহারছড়া উপকূলে ভিড়ে।
বেশ কয়েকজন লোকালয়ে পালিয়ে গেলেও ৩৯৬ জনকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড সদস্যরা।
পরের দিন ১৬ এপ্রিল বিকেলে তাদেরকে জাতিসংঘ শরনার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মাধ্যমে টেকনাফ ট্রানজিট জেটি হতে কেরুনতলী ও ঘুমধুম প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। পালিয়ে যাওয়াদের মধ্যেও বেশ ক’জনকে পরে এ দু’টি সেন্টারে কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়।
কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সহ বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থা তাদের সার্বিক তদারকি, চিকিৎসা সেবা প্রদান করে।
পরে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত হওয়ার পর আজ শুক্রবার দুপুরে টেকনাফ কেরুনতলী হতে ৭৩ জন এবং ঘুমধুম হতে ২৯৩ জনকে উখিয়া ও টেকনাফের স্ব স্ব ক্যাস্পে পৌঁছে দেওয়া হয়।
এছাড়া এখনও ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত না হওয়ায় ঘুমধুমে ২২ জন ও কেরুনতলীতে ৫ জন অবস্থান করছে।
তাছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৭ জন রোহিঙ্গা।
গত ১৬ এপ্রিল রোহিঙ্গাদের জন্য করোনাভাইরাস জনিত প্রাদুর্ভাব হতে রক্ষায় প্রস্তুত টেকনাফের কেরুনতলী ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়।
টেকনাফ কেরুনতলী কোয়ারেন্টিন সেন্টারে দায়িত্বরত রেড ক্রিসেন্ট কর্মকর্তা মো. মোস্তফা সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘সাগরপথে মালয়েশিয়া উপকূলে ভিড়তে না পেরে বাংলাদেশে ফেরত আসা এসব রোহিঙ্গাদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত হওয়ায় স্ব স্ব ক্যাম্পে পৌঁছিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
পাঠকের মতামত