সরওয়ার আলম শাহীন,উখিয়া নিউজ ডকম::
খরস্রোত রেজু খালের প্রবল ভাঙ্গন চলছে গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন সড়ক ইনানী-কোটবাজার সড়কের বিভিন্ন অংশে।এতে সড়ক রক্ষার্থে নির্মিত গাইডওয়াল ভেঙ্গে পড়ায় হুমকির মুখে পড়েছে সড়কটি। তাছাড়া পার্শ্ববর্তী শতশত বসতবাড়ি ও বিভিন্ন ফসলি জমিও রক্ষা পাচ্ছেনা উক্ত ভয়াল গ্রাসী রেজুর ভাঙ্গনের থাবা থেকে।এলাকাবাসী এ অবস্থার জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী বালি সিন্ডিকেটকেই দায়ী করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, উখিয়া উপজেলার খর¯্রােতা নদী রেজু (খাল) জালিয়া পালং,হলদিয়া পালং ও রাজাপালং এর কিছু অংশ ঘিরে গড়ে উঠেছে।ঐ নদীটিকে যেমন হাজার হাজার মানুষের জীবিকা নির্বাহের উৎস তেমন মাথা ব্যথারও অন্যতম কারন।শুষ্ক মৌসুমে অধিকাংশ খালে যখন পানি শুন্যতা বিরাজ করে তখন রেজু খালে অনেক স্থানে পানি দেখা যায়,যা দিয়ে নদীর পাড়ের মানুষ গুলো তাদের হাল চাষ ক্ষেত খামারের পানির প্রয়োজনিয়তা মেটায়, আবার ঐ মৌসুমকে পুজি করে এক শ্রেণীর অসাধু প্রভাবশালী ব্যাক্তি ও বালি উত্তোলনকারি সিন্ডিকেট মাথা নাড়া দিয়ে উঠে। তারা রেজু খালের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করার ফলে খালের পাদ দেশে মাটি শুন্যতা বিরাজ করে। যার ফলে বর্ষা মৌসুমে খালের পানির ¯্রােত তীব্র আকার ধারনের ফলে রেজু খালের উভয় পাশে ব্যাপক হারে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। তাছাড়া পূর্ণিমা ও আমাবশ্যার ভরা জোয়ারের তীব্র ¯্রােতে নদীর দুই পাড়ে ভাঙ্গন ব্যাপক আকার ধারন করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই কোন নজরদারী। উপজেলার গুরুত্বপূর্ন পর্যটন এলাকা ইনানীর যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ইনানী-কোটবাজার (এলজিআইডি) সড়কটিও রেহায় পাচ্ছেনা ভয়াল গ্রাসী ভাঙ্গন থেকে, উক্ত সড়কের মনির মার্কেট নামক স্থানের খাল থেকে অতি মাত্রায় বালি উত্তোলনের ফলে সড়ক প্রতিরোধক গাইড ওয়াল ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে খালের পানি সরাসরি আঘাত হানছে সড়কে। অসহনীয় জোয়ারের আঘাতে সড়কের ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে। যার ফলে সড়কের অর্ধেকাংশ খালের মধ্যে পতিত হওয়ার কারনে ভারি যান চলাচল মারাত্মক ঝূকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে। এমনকি মনির মার্কেট বাজার অল্প সময়ের মধ্যে ভেঙ্গে গিয়ে রেজুর বুকে চলে যেতে পারে বলে এলাকাবাসীর অভিমত।স্থানীয় বাসিন্দা শামশুল আলম, বুজুরুজ মিয়া ও ছুরুত আলম অভিযোগ করে জানান, রেজুখালের পাশ্ব¦বর্তী ইনানী-কোটবাজার সড়ক রক্ষার্থে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে একটি শতফুট দীর্ঘ গাইডওয়াল নির্মাণ করে দেয়। অবৈধ বালি উত্তোলনের ফলে উক্ত গাইডওয়ালটি ধ্বসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এছাড়া থাইংখালী, দুছড়ি খাল থেকে বাঁধাহীন ভাবে বালি উত্তোলনের ফলে কয়েকটি গ্রামের জনগন হুমকির মুখে রয়েছে বলে স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ। এ ব্যাপারে জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হিসেবে ও উপকূলীয় এবং পর্যটন এলাকা হিসেবে উক্ত সড়কটি ভাঙ্গণ রোধের টেকসই পদক্ষেপ নেওয়া খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে। অন্যতায় বৃহত্তর জালিয়াপালং সহ উপজেলা বাসীর সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যেতে পারে।উখিয়া সদর ভূমি অফিস থেকে বালি মহল ইজারা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও প্রভাবশালী বালি সিন্ডিকেট এসব নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে উখিয়া ভূমি অফিসের তহসিলদার আব্দুল করিমের সাথে কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন বালি মহল ইজারা দেওয়া হয়নি বলে জানান। এ ব্যাপারে মোবাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে থাইংখালী বালি মহলে অভিযান চালানো হয়েছে। পর্যাত্রুমে আরো অভিযান চলবে।