প্রকাশিত: ০১/০৯/২০১৬ ৮:১১ এএম

1আজিজুল হক, ঘুমধুম প্রতিনিধিঃ নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম পশু হাশপাতালে চিকিৎসক নেই,দীর্ঘদিন ধরে হাশপাতালটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকলেও এ ব্যাপারে কারো মাথাব্যাথা নেই। ১৯৮৬ সালে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধিনে সরকারী অর্থায়নে সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম সোবাহান সিকদার গং এর দানকৃত ৪০ শতক জায়গার উপর পশু হাশপাতালটি নির্মান করেন।তখন থেকে পশু চিকিৎসার জন্য সার্বক্ষণিক একজন ডাক্তার নিয়োজিত ছিল। পরবর্তিতে ১৯৯১ সালের প্রলয়কারী ঘূর্ণিঝড়ে হাশপাতালটির ছাউনি উড়ে যায়,হাশপাতালের সরঞ্জামাদি নষ্ট হয়ে যায় তখন থেকে অযত্ন অবহেলায় হাশপাতালটি পড়ে অাছে। গত ২০১২ইং সালে হাশপাতালটি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমন্ডার অালহাজ্ব রাজামিয়ার তত্বাবধানে হাশপাতালটি সংস্কার করা হলে এলাকাবাসী অাশার অালো দেখে,হাশপাতালটি সংস্কারের দীর্ঘ চার বছর অতিবাহিত হলেও চিকিৎকের ব্যাবস্থা করা হয়নি।মায়ানমারের সীমান্তঘেষা ঘুমধুমের ত্রিশ হাজার পাহাড়ি বাঙ্গালী জনগোষ্টির একমাত্র পশু হাশপাতালটি বন্ধ থাকায় বিভিন্ন সময় রোগাক্রান্ত পশু নিয়ে চরম দুর্ভোগ পুহাতে হচ্ছে। ঘুমধুম ইউনিয়নটি কৃষি প্রধান মানুষের জীবিকা নির্বাহের প্রধান মাধ্যম গরু,মহিশ,ছাগল,হাস,মুরগী পালন। গত দুই বছর পূর্বে মুরগীর দুই-শতাধিক বাণিজ্যক খামার থাকলে I বর্তমানে মাত্র ৫০টি খামার রয়েছে। পোল্ট্রি খামার ব্যাবসায়ী সালা উদ্দিন,জাফর অালম,মামুনুর রশিদ,করিম,ইমাম হোছাইন সহ অারো অনেকে বলেন অামাদের ইউনিয়নে কোন পশু চিকিৎসক না থাকায় প্রতিনিয়ত মুরগীi বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের সমস্যার সম্মুখিন হতে n‡”Q,উপজেলায় চিকিৎসক ও পশু সম্পদ কর্মকর্তা থাকলে I দুরত্ব বেশী হওয়া চিকিৎসা সেবা নেওয়া সম্ভব হয়ে উঠেনা। এ ব্যাপারে উক্ত পশু হাশপাতালের ভূমিদাতা গোলাম সোবাহান সিকদার বলেন এলাকায় পশু রোগের পার্দুভাব দেখে ১৯৮৬ সালে হাশপাতাল স্থাপনের জন্য পৈতৃক ৪০শতক জমি দান করেছিলাম। কিন্তু দীর্ঘদিন হাশপাতালটি বন্ধ থাকায় অামরা পশু রোগের ক্ষেত্রে না সমস্যায় পতিত হচ্ছি। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমন্ডার অালহাজ্ব রাজামিয়া e‡jb এই এলাকায় কোন গরু,ছাগল রোগে অাক্রান্ত হলে ছয় কিলোমিটার দুরে পাশ্ববর্তী উখিয়া উপজেলা পশু হাশপাতালে নিয়ে যেতে হয় অvমাদের এলাকার ত্রিশ হাজার জনগোষ্টির জন্য কোন পশু ডাক্তার না থাকায় রোগে অাক্রান্ত পশু মৃত্যুর হার দিন দিন বাড়ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ অাতিয়ার রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন পশু সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ইউনিয়ন ভিত্তিক চিকিৎসক দেওয়ার অনুমতি নেই,তবুও পশু রোগের ক্ষেত্রে জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের বরাবরে অাবেদন পাটাব।

পাঠকের মতামত

আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় সঠিক তথ্যসেবার বিকল্প নেই

আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় সাংবাদিকরা তথ্যসেবার মাধ্যমে রাখতে পারেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। বিশেষ করে ...

উখিয়ায় রেস্টুরেন্টের স্ক্রিনে নি’ষি’দ্ধ ‘ছা’ত্রলী’গের ফেরার বার্তা!

কক্সবাজারের উখিয়ার থাইংখালী এলাকার একটি রেস্টুরেন্টের ডিজিটাল স্ক্রিনে ভেসে উঠেছে ‘ছাত্রলীগ ভয়ংকর রূপে ফিরবে’। মঙ্গলবার ...