বিশেষ প্রতিবেদক::
মহেশখালী সোনাদিয়ার বতল্যা বাহিনীর জলদস্যুরা আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বাহিনীপ্রধান সরওয়ার বতল্যা ও সহযোগী ইলিয়াছ কয়েকমাস আগে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর গ্রুপের অন্যান্য ডাকাতরা কিছুদিন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকলেও এখন আবার সংগঠিত হয়ে সাগরে জলদস্যুতা করছে বলে জানা গেছে।
সূত্রে প্রকাশ, কয়েকমাস আত্নগোপনে থাকার পর বতল্যা বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড ও ডজনাধিক মামলার পলাতক আসামী সোনাদিয়ার মীর কাশেম কক্সবাজার পৌরসভার উত্তর কুতুবদিয়া পাড়ায় অবস্হান করে জলদস্যুদের সংগঠিত করে আবারো বাহিনী পূনর্গঠন করে। বর্তমানে তার গ্রুপের সদস্যরা সাগরে জলদস্যুতা নিয়ন্ত্রন করছে। মীর কাসেমের নিয়ন্ত্রনে সোনাদিয়ার মনজুর, সিরাজ, শফি আলম, খলিল, ছৈয়দ, ও করিম প্রমুখ জলদস্যুরা সাগরে ফিশিং বোট ডাকাতি, জেলেদের অপহরন ও মুক্তিপন আদায়সহ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। কুতুবজোম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সোনাদিয়ার ওয়ার্ডের মেম্বার আবদুল গফুর নাগু ইতিপূর্বে উপরোক্ত জলদস্যুদের বিপক্ষে অবস্হান নেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৩ জুলাই রাতে বতল্যার নেতৃত্বে উপরোক্ত জলদস্যুরা তাকে নৃসংশভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় মহেশখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়। এরপর পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে বতল্যা নিহত হলে বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা আত্নগোপনে চলে যায়। কিন্তু এখন তারা আবারো সংগঠিত হয়ে জলদস্যুতা করছে। গত বৃহস্পতিবারও এরা নাজিরারটেক চ্যানেলে ফিশিংবোট ডাকাতি করেছে। এরা বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন সূত্র জানায় কক্সবাজার পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কুতুবদিয়া পাড়ার জনৈক সিরাজ বহদ্দারের বাড়ীতে উপরোক্ত জলদস্যুরা অবস্হান করছে। জলদস্যুদের বিরোধিতাকারী সোনাদিয়ার বিভিন্ন জনগনকে এরা হুমকি দিচ্ছে বলে জানা গেছে।