যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা মিয়ানমারের উপর নতুন করে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। অভ্যুত্থানের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে জ্বালানি কর্মকর্তা এবং জান্তা সদস্যদের উপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তারা।
মঙ্গলবার ক্ষমতা দখলের দ্বিতীয় বার্ষিকীতে দেশটির জান্তা সরকারের উপর নতুন করে এ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এলো।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের ইউনিয়ন নির্বাচন কমিশন, খনির উদ্যোক্তারা, জ্বালানি কর্মকর্তা এবং বর্তমান ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।
ট্রেজারি বিভাগের একজন মুখপাত্র বলেছেন, এই প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের বর্তমান নিষেধাজ্ঞা কর্মসূচির অধীনে মিয়ানমারের তেল ও গ্যাস এন্টারপ্রাইজ (এমওজিই) কর্মকর্তাদেরও লক্ষ্যবস্তু করেছে।
মঙ্গলবার কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং ব্রিটেনও আলাদা ভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে।
ওয়াশিংটন মিয়ানমারের সাবেক এবং বর্তমান সামরিক কর্মকর্তাদের উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বেসামরিক নাগরিকদের হত্যাকারী গণতন্ত্রপন্থী শক্তির বিরুদ্ধে রাশিয়ার তৈরি বিমান ব্যবহার করে বিমান হামলা চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ।
কানাডা ছয় ব্যক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। মঙ্গলবার দেশটি তার প্রতিক্রিয়ায় বিমানের জ্বালানী রপ্তানি, বিক্রয়, সরবরাহ বা চালান নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়া জান্তা সদস্যদের এবং একটি সামরিক-চালিত কোম্পানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এছাড়া, ব্রিটেন মিয়ানমারের বিমান বাহিনীকে তার নিজস্ব নাগরিকদের বিরুদ্ধে বোমা হামলা চালানোর জন্য ব্যবহৃত বিমানের জ্বালানি সরবরাহে সহায়তা করার জন্য দুটি কোম্পানি এবং দুই ব্যক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বিরোধীদের কণ্ঠের উপর তাদের নৃশংস দমন, সন্ত্রাসী বিমান হামলা এবং নির্লজ্জ মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জান্তাকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
পাঠকের মতামত