নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি::
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি-আলীকদম ও থানছি উপজেলার সীমানার অদূরে বাংলাদেশ-ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তের আস্তানা থেকে আসা শতাধিক পাহাড়ি সন্ত্রাসী নাইক্ষ্যংছড়ির গহীন বনে অবস্থান করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। উপজাতীয় এ সব সন্ত্রাসী মিয়ানমার সীমান্তের ১০ কিলোমিটার অভ্যন্তরে বাইশারী ইউনিয়নের আলিক্ষ্যং মৌজার কয়েকটি স্থানে ঘোরাফেরা করছে অস্ত্র কাঁধে দিয়ে। যাদের পরনে খাঁকি পোশাক ও হাফ/লম্বা প্যান্ট। গত বুধবার থেকে এদের ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সাপমারা ঝিরি এলাকায় অবস্থান করতে দেখা যায়। এদের দেখে এলাকার লোকজন আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উর্ধ্বতন মহলকে বিষয়টি অবহিত করেন। পাহাড়ে অবস্থানকারী লোকজনও বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করেন। এরপর ২৭ জুলাই সন্ধ্যায় অভিযানে নামে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে থাকা ৩১ বিজিবির জোয়ানরা। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম কোম্পানি জানান, তিনি বুধবার রাতে খবর পান যে তার এলাকার সাপমারা ঝিরি গ্রামে শতাধিক উপজাতীয় অস্ত্রধারী অবস্থান করছে। বিজিবির অভিযানের বিষয়টি আচঁ করতে পেরে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় আরো গহীন অরণ্যে। নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ৩১ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল আনোয়ারুল আজিম বলেন, নানা মাধ্যমে নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড়ি এলাকায় বেশকিছু সন্ত্রাসী অবস্থান করছে খবর পেয়ে অভিযানের পরিকল্পনা করেন তারা। গত ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার সন্ধায় এবং পরদিন শুক্রবার সকালে দ্বিতীয় দিনের অভিযানে নানা কৌশল প্রয়োগের পরও জঙ্গলার্কীর্ণ এলাকা হওয়ায় সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় । শনিবারও তারা সন্ত্রাসীদের ধরার জন্য নানা স্থানে অভিযান পরিচালনা করেছেন। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিজিবি অধিনায়ক আরো বলেন, এরা কোন সংগঠনের সদস্য তা তিনি জানেন না। তবে তিনি ধারণা করছেন এরা বিচ্ছিন্নভাবে চাঁদাবাজি করতে অথবা অন্য কোন কারণে এখানে এসেছে। কিন্তু বিজিবির তৎপরতায় তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে পাহাড়ে পাহাড়ে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ তৌহিদ কবির জানান, পাহাড়ে অস্ত্রধারীদের বিষয়ে অবহিত হওয়ার পর তিনি তার সদস্যদের সজাগ করেছেন।
পাঠকের মতামত