রিয়াজুল হাসান খোকন (শামলাপুর)
টেকনাফ বাহারছড়ার শামলাপুর বাজারে জনপ্রতিনিধিদের উদাসীনতা ও অবহেলার কারণে সামান্য বৃষ্টিতে কাদা মাঠি ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে, আর এই কারণে সামান্য বর্ষার বৃৃষ্টিতেও বাজারে রাস্তার মাঝখানে নোংরা পানি ও রাস্তার দুপাশে নোংরা কাদা মাঠি জমা থাকে, যার জন্য প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে প্রতিদিন বাজারে আসা কয়েক হাজার মানুষকে। জানা যায় শামলাপুর বাজার টেকনাফের একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার, আর পান, সুপারি, ও মাছের জন্য এই বাজার বিখ্যাত হওয়ার কারণে পুরো বাহারছড়া ইউনিয়ন ছাড়াও প্রতিদিন এখানে উখিয়া জালিয়াপালং ইউনিয়ন, হোয়াইক্যাং ইউনিয়ন, পালংখালী ইউনিয়ন, ও হ্নীলা ইউনিয়ন থেকে অনেক ব্যবসায়ী বাণিজ্য করতে ও বিভিন্ন মানুষ কাজে কর্মে শামলাপুর বাজারে আগমন করেন। তাই চওড়া, লম্বা, মিলে অর্ধ কিলোমিটার ছোট্র এই বাজারটি বছরে ইজারা হয় প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। আর স্থানীয়দের অভিযোগ ছোট্র এই বাজারটি এত মোটা অংকের টাকায় ইজারা হলেও মুলত এই বাজারের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসন নেয়না তেমন প্রসংশনীয় উদ্যোগ, তার জলন্ত প্রমান সামান্য বৃষ্টিতে অতি জলাবদ্ধতা ও কাদা মাঠি। স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে আরো জানা যায় শামলাপুর বাজারে রাস্তার দুপাশে মানুষ চলাচলের ফুটপাত স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখলে নিয়ে সেখানে ব্যাঙের ছাতার মত ছোট ছোট দোকানপাট তৈরি করেছে, যার জন্য স্থানীয় ও প্রতিদিন বাজারে আসা শত শত মানুষদেরকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তার উপর দিয়ে চলাফেরা করতে হয়, ফলে অনেক সময় অনাকাঙ্কিত ভাবে রাস্তার উপর ঘটছে দূর্ঘটনা। আর প্রভাবশালীরা রাস্তার দুপাশে বৃষ্টির পানি চলাচলের পথ ও মানুষ হাটার ফুটপাত বন্ধ করে দোকানপাট নির্মান করার কারণে, এবং বাজারে বিভিন্ন দোকানের বর্জ্য ময়লা রাস্তার উপর ফেলার কারণে নোংরা কাদামাঠি ও নোংরা পানির জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। আর শামলাপুর বাজারে চায়ের দোকান, খাবার হোটেল, চনা পিয়াজুর দোকান, ও মুদির দোকান মালিকদের টেকনাফ উপজেলা স্যানিটেশন অফিসার সৌরভ উদ্দীন নোংরা পানি ও বর্জ্যময়লা রাস্তার উপর না ফেলার জন্য বার বার নির্দেশ দিলেও মুলত উক্ত দোকানদাররা তার নির্দেশ না মেনে প্রতিদিন বাজারে ভেতর রাস্তার উপর ফেলছে ময়লা পানি ও বর্জ্য। অন্যদিকে মাছ বাজারে নোংরা পানি বাজারে বিভিন্ন স্থানে প্রবাহিত হওয়ার কারণে বাজারে আসা সকল মানুষদের কে বিশ্রি দুগন্ধ সহ্য করতে হয়, আর অনেকে বলেন এই গন্ধের কারণে মানুষের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি রয়েছে। অন্যদিকে একটি এন,জিও সংস্থার উদ্যোগে শামলাপুর বাজারে বিভিন্ন পয়েন্টে বড় বড় ডাস্টবিন তৈরি করে দিলেও মাসের পর মাস সেই ডাস্টবিন পরিষ্কার করা হয়না। অনেক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন বাজার পরিষ্কার করার জন্য যে পরিছন্ন কর্মী আছেন তিনি মাস শেষে প্রত্যেক দোকান থেকে টাকা তুলতে একটুও দেরি করেনা, কিন্তু তিনি বাজার পরিষ্কার করার সময় যত টালবাহানা, এর জন্য দায়ী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন, তারা একটু যত্নবান হলে শামলাপুর বাজার বিভিন্ন সমস্যা থেকে রেহাই পাবে। তাই শামলাপুর সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত সর্বস্থরে মানুষের দাবী অতিশীঘ্রই শামলাপুর বাজারের বিভিন্ন সমস্যা দুর করা হোক, বিশেষ করে মানুষ চলাচলের ফুটপাত দখল মুক্ত করে চলাচলের উপযোগী করা হোক। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ইউপি সদস্য মোঃ ইউনুছ বলেন আমাদের চেয়ারম্যান পবিত্র ওমরা পালন শেষে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দেশে আসবেন, তারপর বাজারের সমস্যা গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে তা নিরসনের চেষ্টা করা হবে। অন্য দিকে এই বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) তুষার আহমদ বলেন আগামী কয়েক দিনের মধ্যে উপজেলায় হাট বাজার সম্পর্কে একটি সমন্বয় বৈঠক হবে, সেখানে এই বাজারের সমস্যা গুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে।
কক্সবাজারের উখিয়ায় খোলাবাজারে অবৈধভাবে বিক্রি করা টিসিবি পণ্য জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার ...
পাঠকের মতামত