ডেস্ক রিপোর্ট::
নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান বেরিত রেইস আন্দেরসেন দীর্ঘদিন চুপ থেকে শেষমেশ মিয়ানমারের নেতা অং সান সু চির বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ ও সমালোচনার ওপর মন্তব্য করতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক এবং একজন শান্তি পুরস্কার বিজয়ীর অমানবিক কার্যকলাপ নিঃসন্দেহে নোবেল পুরস্কারের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করে।
তবে নোবেল কমিটি এমন কোনো সংস্থা নয় যে সে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের কাজকে সংশোধন করবে অথবা এ কাজ থেকে নিবৃত্ত করার জন্য অনুরোধ করবে। দিয়ে দেওয়া পুরস্কার ফেরত নেওয়ার বাস্তবিক কোনো উপায় নোবেল কমিটির হাতে নেই বলে তিনি যোগ করেন।
মিয়ানমারের মুসলমান অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্য থেকে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা নাগরিককে দেশত্যাগে বাধ্য করার কারণে সারা বিশ্ব থেকে চার লাখের বেশি স্বাক্ষরসংবলিত একটি স্মারকলিপি নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান বরাবর পাঠালে তিনি জবাব দিতে বাধ্য হন। স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়, যেহেতু নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত সু চি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন, সে কারণে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার ধরে রাখতে পারেন না এবং নোবেল কমিটি অতিসত্বর সু চির এই পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নেবে।
চেয়ারম্যান বেরিত রেইস আন্দেরসেন বলেন, কাউকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার পরে তা প্রত্যাহার করা নোবেল বিধি-বিধানের পরিপন্থী। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনকে পুরস্কারের জন্য নির্বাচন করি, তা হয় সেই ব্যক্তি বা সংগঠনের সেই মুহূর্তের ক্রিয়াকলাপের ওপর ভিত্তি করে। আগামী শুক্রবারও নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি ২০১৭ সালের শান্তি পুরস্কার ঘোষণা করতে যাচ্ছে এবং ঠিক একই উপায়ে। ’ তিনি এও বলেন, শুধু অং সান সু চি নন, বারাক ওবামা এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদানের পরও নোবেল কমিটিকে বিভিন্ন মহল থেকে তিরস্কার শুনতে হয়েছিল।
পাঠকের মতামত