মাদারীপুর প্রতিনিধি: প্রেমিকের হাত ধরে অজানার উদ্দেশে পাড়ি জমিয়েছেন প্রবাসী স্বামীকে রেখে স্ত্রী প্রিয়া খানম (১৮)। বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে নাটকীয়ভাবে মিথ্যে অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই প্রিয়া। ওই মামলায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের গ্রেফতার আতঙ্কে বরিশাল নগরীতে আত্মগোপনে থাকা মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার মজিদবাড়ী গ্রামের মন্নান বেপারীর কন্যা প্রিয়া খানম তার বর্তমান স্বামী ফয়সাল বিশ্বাসকে (১৯) সাথে নিয়ে মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকদের জানান, গত চার বছর আগে তার অমতে পরিবারের সদস্যরা জোরপূর্বক তাকে পাশের মস্তফাপুর গ্রামের কাদের ফকিরের পুত্র প্রবাসী সোহেল ফকিরের সাথে বিয়ে দিয়েছিলেন।
প্রিয়া অভিযোগ করেন, বিয়ের পর তিনি দেখতে পায় সোহেল ফকির সর্বদা নেশায় আসক্ত হয়ে থাকেন। এনিয়ে তাদের দাম্পত্য কলহ শুরু হলে সোহেল তাকে মারধর করে তার বাবার বাড়িতে তাড়িয়ে দেন। দীর্ঘদিনেও সোহেল তার কোনো খোঁজখবর না নেয়ায় গত ২০ জানুয়ারি আদালতের মাধ্যমে সোহেলকে সে (প্রিয়া) তালাক প্রদান করেন।
প্রিয়া আরো জানান, এরইমধ্যে তার সাথে পরিচয় হয় একই উপজেলার মিনাজদী গ্রামের প্রবাসী বিল্লাল বিশ্বাসের পুত্র ফয়সাল বিশ্বাসের (১৯)। পরিচয়ের সূত্রধরে ফয়সালের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তারা দুইজনে গত ৭ মে পালিয়ে বরিশালের একটি আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করেন।
সূত্রমতে, বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পরলে প্রবাসী সোহেলের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রিয়া খানমসহ তার বাবার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যে একটি চুরির মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলা থেকে রেহাই পেতে প্রিয়ার ভাই সজল বেপারী নাটকীয়ভাবে ফয়সাল, তার মা, দুই চাচা ও ফুফুর বিরুদ্ধে গত ১০ মে মাদারীপুর সদর থানায় একটি মিথ্যে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ ফয়সালের নির্দোষ চাচা লিটন বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। অপর আসামিরা পুলিশের গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
প্রিয়া খানক বলেন, আমাকে কেউ অপহরণ করেনি, আইন মোতাবেক আমি আমার প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে নিজের ইচ্ছায় ফয়সালের সাথে পালিয়ে এসে বিয়ে করে সংসার বেঁধেছি। সেখানে আমাদের কেউ হয়রানি করতে চাইলে আমরা দুইজনেই আত্মহত্যা করবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
পাঠকের মতামত