প্রকাশিত: ০৭/১০/২০১৬ ৯:০৯ পিএম , আপডেট: ০৭/১০/২০১৬ ৯:০৯ পিএম

শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি জ্ঞান দেওয়ার পাশাপাশি এর অপব্যবহার রোধে ভূমিকা রাখতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

আজ শুক্রবার রাজধানীতে পঞ্চম জাতীয় শিক্ষক সম্মেলনে এ আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা মন দিয়ে আইসিটি শেখাবেন। সঙ্গে সঙ্গে এটাও খেয়াল রাখবেন, যাতে কেউ আইসিটির অপব্যবহার করতে না পারে। আপনাদের শিক্ষার্থী ও সন্তানেরা ফেইসবুক আইডিগুলো দয়া করে পরিদর্শন করবেন।

পলক বলেন, “ফেইসবুকে আসক্ত হয়ে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা যেন টেক্সটবুক ভুলে না যায় সেটাও কিন্তু আমাদের দেখতে হবে।”

কর্মক্ষম জনসংখ্যাকে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার মত করে ‘তৈরি করে দিতে’ শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা এখন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড উপভোগ করছি, যাতে ৭০ শতাংশ জনসংখ্যা ৩৫ বছরের নিচে। অর্থাৎ আমাদেরকে তারুণ্যের অফুরান যে শক্তি সেটাকে কাজে লাগাতে হবে।”

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সত্তরের দশকে নাইজেরিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়া একই সঙ্গে ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’ কাজে লাগানোর সুযোগ পেয়েছিল। দক্ষিণ কোরিয়া সেই তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এখন অর্থনীতির শক্তিশালী একটি দেশ। কিন্তু নাইজেরিয়া তা না পারায় সেভাবে উন্নত হতে পারেনি।

বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করার মাধ্যমে এই ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’ এর সর্বোচ্চ সুবিধা নেওয়র সুযোগ শিক্ষকরা করে দিতে পারেন বলে মন্তব্য করেন পলক।

জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়তে শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “১ লাখ ৭০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চার কোটি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। তাদের যদি আমরা নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে না পারি, মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় গড়ে তুলতে না পারি, তাহলে আধুনিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারব না। আর সেখানেই শিক্ষকদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব এবং কর্তব্য।”

প্রতিমন্ত্রী বলেন, তার ছোটোবেলায় বলা হত- বড় হয়ে সফল হতে চাইলে অংক, ইংরেজি, বিজ্ঞান শিখতে হবে। আর এখন কেউ সফল হতে চাইলে তাকে অংক, ইংরেজি ও বিজ্ঞানের পাশাপাশি আইসিটিও শিখতে হবে।

তিনি বলেন, “সে যদি প্রোগ্রামিং না পারে, কোডিং করতে না পারে তাহলে সময়ের উপযোগী সে হবে না। যে কোনো পেশায় আসতে হলে আইটিতে দক্ষ হতে হবে।”

বাংলাদেশের শিক্ষকরা আইসিটি শিক্ষাকে আপন করে নিয়েছেন-এ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “শিক্ষক বাতায়ন ওয়েবসাইটে ৯০ হাজার শিক্ষক নিবন্ধিত। সেখানে ৬০ হাজার ডিজিটাল কনটেন্ট আমাদের শিক্ষকরা যুক্ত করেছেন। এটা শুনে সারা পৃথিবীর মানুষ অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে।”

লিটারেসি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান কাজী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আহ্ছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এম এম সফিউল্লাহ, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক এম এহছানুর রহমান, লিটারেসি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নুরুল ইসলাম।

আহ্ছানিয়া মিশনের অধীনে থাকা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চার শতাধিক শিক্ষক সম্মেলনে অংশ নেন।

পাঠকের মতামত

কেন্দ্রের নির্দেশনায় উখিয়ায় পল্লী বিদ্যুতের কমপ্লিট শাটডাউন

উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের, কয়েকজনকে গ্রেফতার এবং ১০ কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করার প্রতিবাদে ...

সংকটে থাকা ইউনিয়ন ও এক্সিম ব্যাংককে ৫৫০ কোটি টাকা তারল্য সুবিধা দিচ্ছে সোনালী ব্যাংক

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, এরমধ্যে ৪০০ কোটি টাকার ধার পাচ্ছে এক্সিম ব্যাংক; ইউনিয়ন ব্যাংক ...