উখিয়া নিউজ ডেস্ক :
উখিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রাকৃতিক বনকে সংক্ষরণ করার লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো নির্মিত হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব পর্যটন কেন্দ্র। যেখানে পর্যটকরা পাবেন উপজাতিদের হাতের তৈরি খাবারসহ বিভিন্ন পণ্য। এছাড়া বনের ওপর নির্ভরশীল আদিবাসীরা পাবে বিকল্প কর্মসংস্থান।
উখিয়া উপজেলা থেকে ৩০কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের কোল ঘেষে মারদাবুনীয়া চাকমা পাড়া। পাহাড় ও সমুদ্রের মাঝখানে অবস্থিত এই গ্রামটিতে নির্মাণ করা হচ্ছে ইকোট্যুরিজম। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেস্বর) মাদারবুনিয়া ঘুরে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের চিত্র দেখা যায়। ২৫ শতাংশ জমি উপর গড়ে ওঠা এই পর্যটন কেন্দ্রকে ঘিরে স্বচ্ছল জীবনের স্বপ্ন দেখছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের আদিবাসীরা।
কক্সবাজারে অন্যান্য উপজাতির তুলনায় চাকমা উপজাতির বসবাস কম। তবে মাদারবুনিয়ায় চাকমাপাড়ার বাসিন্দারা বৃটিশ শাসনামলে এখানে বসতি গড়ে তোলেন। গ্রামটিতে প্রায় ৬শ জনসংখ্যার ৮২
চাকমা পরিবারের বাস। তাদের উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম ছিলো গাছ কাটা ও বনাঞ্চল ধ্বংস করে জুম চাষ। আরণ্যক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইকোট্যুরিজমটি নির্মাণের প্রায় ৩৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে পর্যটন কেন্দ্রের নির্মাণের ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে উদ্ধোধন করা হবে। দীর্ঘদিন থেকে নানা সুযোগ সুবিধার অভাবে মানবেতর জীবন-যাপন করছে মাদারবুনিয়ার চাকমারা। বিগত কয়েক বছর থেকে বন বিভাগ ও এনজিওর সহায়তায় ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করছেন তারা। মাদারবুনিয়ার দোকানদার নির্মল চাকমা বাংলানিউজ বলেন, পর্যটন কেন্দ্র হলে আমার দোকানটা বড় করার পরিকল্পনা আছে। আগে এ গ্রামে শহরের কোনো মানুষ আসতো না। গাড়ি তো দূরের কথা, এখন গাড়ি আসছে, শহরের মানুষ ঢুকছে। এটা আমাদের জন্য বড় ব্যাপার। ছোট্ট এই পর্যটন কেন্দ্রকে ঘিরে এলাকায় বিদ্যুৎ ও স্কুলের স্বপ্ন দেখছে দারবুনিয়া চাকমা গ্রামের হেডম্যান চিকছজন চাকমা।
তিনি বলেন, এখনকার চাকমারা বড় কষ্টে জীবন যাপন করে। জুমচাষ ও বনের গাছপালা কেটে আয় করা এখন সবাই পর্যটনকেন্দ্রকে ঘিরে ভালোভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখছে। এছাড়া আরন্যক ফাউন্ডেশনের ঋণের টাকায় হ্যান্ডিক্রাফট, গাবাদি পশুপালন,সবজি চাষ করে স্বনির্ভর হচ্ছে ।‘পর্যটন কেন্দ্রটি নির্মাণ হলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ বেড়াতে আসবে। হাতের তৈরি বিভিন্ন পণ্য ও আমাদের নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী খাবার বিক্রি করে পর্যটকের চাহিদা মেঠাতে পারবো’ যোগ করেন তিনি।মাদারবুনিয়ার ট্যুরিজম সম্ভাবনা নিয়ে আরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহি পরিচালক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, উখিয়া অঞ্চলটা দরিদ্র প্রবণ এলাকা। চাকমারা জীবিকার কারণে বনের গাছপালা কেটে জুম চাষ করতো। এতে মাঠি ক্ষয়ে যাওয়া শুরু করে। বনাঞ্চলও ধ্বংস হচ্ছে। তাই বিনা সুদে কমিউনিটি ঋণের বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা করে দেই। এরপর এরা ট্যুরিজম স্পট করার জন্য দাবি উঠলে এবং ট্যুরিজম সম্ভাবনা দেখে ট্যুরিজম স্পট নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে তাদের জীবন-যাপনে পরিবর্তন আসবে।
দেশে ফিরেছেন জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। অক্টোবরে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার ...
পাঠকের মতামত