প্রকাশিত: ১৩/১১/২০১৬ ৪:২০ পিএম

img_20161113_162146মানুষ হয়ে মানুষের প্রতি দরদ থাকাটা একেবারে স্বাভাবিক । অসহায় মানুষের পাশে থাকতে আমরা সবাই চেষ্টা করি। যখন আপনার আমার সেই দুর্বলতা কারো কাছে ব্যাবসার কারন হয় তখন তাকে ছেরে দেওয়া ভালো হবে না,অন্তত আমি তা সমর্থন করি না । এইসব ধান্দাবাজদের কারনে প্রকৃত বিপদগ্রস্ত বা অসহায় মানুষের প্রতি মানুষের দয়া কাজ করেনা।
আজ তেমন একটা বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই-
জিইসি র মোড়ে ফুটপাতে নয় রাস্তায় শুয়ে ভিক্ষা করছে এই লোক ,যার ছবি নীচে দেওয়া হলো,তার পায়ে ব্যান্ডিজ করা , বল্লো গাড়ি এক্সিডেন্ট করে এই অবস্থা, তাই চিকিৎসাসহ তার পরিবারের ভরনপোষনের আর কোন সদস্য না থাকায় ,তাকেই সব কিছু করতে হয় ,তাই সে মানুষের কাছে সাহায্য চায়।অনেক মানুষ যার যেমন সামর্থ্য আছে তাকে সাহায্য করছে , রাস্তায় পড়ে আছে বলে মানুষের চলাচলের সময় বা রিক্সা যাওয়ার সময় তার কারনে বাধাপ্রাপ্ত হয়। আমি একবার গিয়ে তাকে ফুটপাতে তুলে দিয়ে এসেছি ,অন্য লোকজনের সাহায্য নিয়ে ।একটু পরে দেখি সে আবার আগের জায়গায় চলে এসেছে,আমি আবার গিয়ে তকে বল্লাম কি ব্যাপার, তোমাকে আমি একবার এতো কষ্ট করে ফুটপাতে তুলে দিলাম তুমি আবার এইখানে আসলে কেন , সে কোন কথা বল্লো না,পাশের এক হকার বল্লো স্যার আপনি তো তাকে তুলে দিয়ে যাওয়ার একটু পরেই সে নিজে হেঁটে নেমে গেছে , ব্যাপার টা শুনে আমার অবাক লাগলো বল্লাম তুমি তখন উঠে বসতে পারলে না আমরা ৪-৫ জন মিলে তোমাকে ফুটপাতে তুলে দিলাম তুমি আবার মেইন রোডে নেমে আসলে , কারন কি।
পরে আমার সন্দেহ হলো আমি বল্লাম চলো তোমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই , তোমার চিকিৎসাসহ যাবতীয় সব ব্যাবস্থা আমি করবো ,সে যাবে না । তাই আমার সন্দেহ আরো বেশি হতে থাকলো এক পর্যায়ে তাকে বল্লাম দেখি ব্যান্ডিজ খোল, দেখি তোমার পায়ের কি হয়েছে , সে কোন মতেই খুলবে না,পরে আমি হকার কয়টা ডেকে বল্লাম তার পায়ের ব্যান্ডিজ খুলতে, পরে জোর করে তারা ব্যান্ডিজ খোলার সময় সে এমন কান্নাকাটি করছে মনে হয় ব্যাথায় সে মরে যাচ্ছে ।যাই হোক ব্যান্ডিজ খোলার পর দেখি তার পায়ে কিছুই হয়নি, এমনি ব্যান্ডিজ লাগিয়ে ভিক্ষা করছে।পরে সে দৌড়ে পালাতে গিয়ে পারলো না,তার বস্তার ভিতরে যা পাওয়া গেলো তা হলো এক পাতা ট্যাবলেট ও কিছু ব্যান্ডিজ আর তার কিছু কাপড়চোপড় যাইহোক শেষ পর্যন্ত আশে পাশের মানুষের অনুরোধে তাকে ছেরে দিলাম কারন সে ওয়াদা করেছে জীবনে আর কোনদিন এমন করবে না।
এতো কথা বলার কারন একটাই তা হলো, যাকে তাকে সাহায্য না করে দেখে শুনে , চিন্তাভাবনা করে অবশ্যই সাহায্য করতে হবে ,যাহাতে প্রকৃত অসহায় যারা তারা সাহায্য পায়।আমরা সাহায্য করার সময় দেখতে হবে -যাকে সাহায্য করছি সে প্রকৃত সাহায্য পাওয়ার উপযুক্ত কিনা ।
মানুষের মানবিতা নিয়ে যারা এমন অন্যায় করে তাদের কে চিনে রাখুন।শুধু যে এই লোকটি এমন কাজ করছে তা নয় এমন হাজারো লেভাসধারী আপনার আমার পাশে থেকে আমাদের দুর্বলতা নিয়ে ধান্দাবাজী করছে ,তাদের কে যেই কোন মুল্যে এই সমাজ থেকে নির্মুল করতে হবে,তবেই সুন্দর সমাজ,উন্নত দেশ,গর্বিত জাতী হয়ে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবো।

এস এম কামরুল হাসান পি পি এম
জিইসি,চট্টগ্রাম

ফেইসবুক থেকে সংগৃহীত

পাঠকের মতামত

প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপনকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনী

ঢাকা, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রামুসহ সারা দেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা শান্তিপূর্ণভাবে যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘর্ষ, বাংলাদেশিসহ গুলিবিদ্ধ ৫

কক্সবাজারের উখিয়ার জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক বাংলাদেশিসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।ক্যাম্প অভ্যন্তরের থাকা ...

রামু সরকারি কলেজে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ৩ দিনে, ২ সপ্তাহেও চিঠি পাননি তদন্ত কর্মকর্তা

কক্সবাজারের রামু সরকারি কলেজের অচলাবস্থা নিরসনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে আর্থিক ক্ষমতা দেওয়ার জন্য গত ১ অক্টোবর ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বিয়ে করতে মালয়েশিয়া যাচ্ছিল দুই তরুণী

সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতিকালে কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১২ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষসহ ২০ জনকে ...

উখিয়ায় উন্মুক্ত কারাগারের জায়গা পরিদর্শনে নবনিযুক্ত ‘আইজি প্রিজন্স’

কক্সবাজারের উখিয়ায় দেশের প্রথম উন্মুক্ত কারাগারের জায়গা ও জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন নবনিযুক্ত আইজি প্রিজন্স ...