ডেস্ক রিপোর্ট::
ত্রুটিপূর্ণ এজাহার, জব্দ তালিকায় গোঁজামিল, নির্ভরযোগ্য সাক্ষী না থাকায় চট্টগ্রামে মাদক আইনের মামলা প্রমাণে হিমশিম খেতে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। আইনের বাধ্যবাধকতার কারণে মাদক মামলাগুলোতে ভাসমান সাক্ষীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। কিন্তু বিচারিক পর্যায়ে এসব সাক্ষীকে শেষ পর্যন্ত আদালতে আনা যায় না। এ অবস্থায় মাদক আইন সংশোধননসহ মাদক বিরোধী অভিযানে অংশ নেয়া অন্যান্য বাহিনীগুলোকেও মামলার এজাহার লেখার প্রশিক্ষণ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
যেকোনো মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে এজাহারের পাশাপাশি আদালতে মামলা প্রমাণে গুরুত্বপূর্ণ। জব্দ তালিকা এবং ঘটনাস্থলের সাক্ষী। এর কোনো একটি উপকরণে ত্রুটি থাকলে মামলা প্রমাণে সৃষ্টি হয় জটিলতা। চট্টগ্রামে বর্তমানে মাদক আইনে দায়েরকৃত মামলাগুলোতে এ ধরণের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রাষ্ট্রপক্ষকে।
এ বিষয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট এ কে এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, যেসব জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলো আদালতে প্রদর্শন করতে হবে, সাক্ষী, বাদী ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে আসতে হবে, তাহলেই আদালত দোষীকে শাস্তি দিতে পারবেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষ এগুলো প্রমাণে ব্যর্থ হলে আদালত কাউকে শাস্তি দিতে পারবেন না।
জব্দ তালিকার ত্রুটি এবং প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী আদালতে না আসার আইনি সুযোগ পেয়ে যায় আসামিরা।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, জব্দকৃত তালিকার সঙ্গে মামলার বিবরণের মিল থাকে তবে আদালতের রায় দিতে সুবিধা হয়, অন্যথায় আসামিরা খালাস পেয়ে যায়।
পুলিশ এবং মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ছাড়াও র্যাব, কোস্টগার্ড এবং বিজিবি’ও মাদক আইনে মামলা দায়ের করছে। যেখানে এজাহারে থাকে নানা ধরণের ত্রুটি।
এ বিষয়ে সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাসুদ উল হাসান বলেন, আমরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও বিজিবি সদস্যদের এফআইআর লেখা শেখাচ্ছি। এগুলো শেষ হলে সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে যাবে বলে আশা করি।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন আদালতে ২৫ হাজারের বেশি বিচারাধীন মামলায় আসামি হিসাবে রয়েছে অন্তত ৪০ হাজার মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ী।