রাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও পাচার বন্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে প্রস্তাবিত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে মাদক সংক্রান্ত অপরাধের বিচারের জন্য পৃথক আদালত বা ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
মঙ্গলবার একটি সংবাদ সংস্থাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ আইন প্রনয়ন করার পর সরকার চাইলে মাদক সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তির জন্য মহানগর ও জেলা পর্যায়ে পৃথক আদালত স্থাপন করতে পারবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের কারাগারগুলোতে ৩৫ হাজার কয়েদীর ধারণ ক্ষমতা থাকলেও সেখানে এই সংখ্যা ৮০ হাজারের কাছাকাছি। এদের মধ্যে ৪০ শতাংশ মাদক সংক্রান্ত অপরাধী। এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি প্রয়োজন বিধায় মাদক সংক্রান্ত অপরাধের বিচারের জন্য আমরা পৃথক আদালত চেয়েছি।
আসাদুজ্জমান খাঁন কামাল বলেন, মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে খসড়া আইনের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রচলিত মাদক প্রতিরোধ আইনে ইয়াবা ও সীসা অন্তর্ভুক্ত ছিল না। মাদকদ্রব্য প্রতিরোধ আইনের খসড়া প্রস্তাবে ইয়াবা ও সীসাকে মাদক হিসাবে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইদানিং অনেক তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ইয়াবা ও সীসা সেবনের প্রবণতা দেখা দিয়েছে। এগুলোসহ মাদক সংক্রান্ত অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে আইনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রস্তাবিত আইনে ‘মাদক ব্যবসায়ী ও পৃষ্ঠপোষকদের শাস্তির আওতায় আনার বিধান রাখা হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী যত শক্তিশালী হোক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। সমাজপতি-রাজনীতিবিদ যিনিই হউন না কেন, সবাই আইনের দৃষ্টিতে সমান।
তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের ছাড়াও যারা এ ব্যবসায় অর্থ, আশ্রয় ও বাড়ি ভাড়া দিয়ে সহযোগিতা করছে তাদেরও তালিকা করা হচ্ছে। তাদের ধরার চেষ্টা চলছে।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত মোবাইল কোর্টের সংখ্যা ও পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। মোবাইল কোর্ট নিয়ে রেগুলার কোর্টের সঙ্গে কিছুটা বিতর্ক ছিল, সেগুলো সমাধান করার চেষ্টা চলছে।