রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করেছেন।
এটা ছাড়া মিয়ানমার সরকারের বোধোদয় হবে না বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনার উপদেষ্টা এইচ. টি. ইমাম।
বৃহস্পতিবার বিবিসি বাংলার প্রবাহ টিভির সাথে এক সাক্ষাৎকারে মি. ইমামকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, রোহিঙ্গাদের নিয়ে বর্তমান সঙ্কটের সমাধান কিভাবে হতে পারে?
জবাবে তিনি মিয়ানমারের ওপর স্যাংশন বা নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলেন।
এর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, অতীতে অনেক দেশেই এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
মি. ইমাম বলেন, ”পরমাণু অস্ত্র নিয়ে জাতিসংঘ ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। সিরিয়া, ইরাকসহ বিভিন্ন দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।”
”এখন মিয়ানমারের ওপর যদি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, তাহলে সম্ভবত তাদের বোধোদয় হবে। নইলে হবে না।”
ওদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. এইচ. মাহমুদ আলী মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের কাছে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন।
বৈঠকের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের কাছে মি. আলী মিয়ানমারে নতুন সরকার আসার পর বাংলাদেশের সহযোগিতার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।
তিনি আশা করেছেন যে মিয়ানমারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া তাদের নাগরিকরা ফেরত যেতে পারবে।
সঙ্কট মোকাবেলায় সম্ভাব্য সব উপায়ে মিয়ানমারকে সহায়তার কথা বলা হয়েছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।
এর আগে দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, মানবিক কারণেই কিছু রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছে।
যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, সব লোকজন আটকানো বেশ কঠিন। আর কারও কারও মানবিক পরিস্থিতি এতো খারাপ যে তাদের ঢুকতে না দিয়ে পারা যায়না।
তিনি একথাও জানিয়েছেন যে বাংলাদেশে যারা অনুপ্রবেশ করছে তাদের খাবার ঔষধসহ প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
পাঠকের মতামত