প্রকাশিত: ১৪/১০/২০১৭ ১১:৫৫ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:১৭ পিএম

হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ::
এখন বিভিন্ন পানের দোকানেও মিলছে চাকরীর জন্য করা দরখাস্ত। মিয়ানমার থেকে কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করায় এদের সেবায় টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় ছুটে এসেছেন শতাধিক দেশী-বিদেশী এনজিও। ইতোমধ্যে অনেক এনজিও বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন। দরখাস্ত জমা পড়ছে প্রচুর।

জানা যায়, কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা সীমান্তবর্তী টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় বসবাস করায় এ ২ উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দাগণ সব দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং হচ্ছেন। শুরু থেকেই দাবি উঠেছিল লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হিসাবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় বাসিন্দাদের মধ্যে শিক্ষিত বেকারদের চাকরীতে নিয়োগ দেয়ার। এ নিয়ে মিছিল মিটিং, মানববন্ধনও হয়েছে।

কিন্ত খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এনজিওগুলো স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দিয়ে চাকরী দেয়নি। জেলার বাইরের নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিকে চাকরীতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এনিয়ে স্থানীয় সচেতন মহল এবং চাকরী প্রার্থীগণ চরমভাবে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে এনজিওগুলো লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হিসাবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় বাসিন্দাদের মধ্যে শিক্ষিত বেকারদের চাকরীতে নিয়োগ তো দেয়-ইনি, উপরন্ত চাকরীর দরখাস্তগুলো পানের দোকানে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। উখিয়া উপজেলার একজন সংবাদকর্মী ওবাইদুল হক চৌধুরী বলেন ‘এখন উখিয়ার বিভিন্ন পানের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে চাকরীর দরখাস্ত। এধরণের বেশ কয়েকটি দরখাস্ত উদ্ধার করা হয়েছে। যা অত্যন্ত জঘন্য ও দুঃখজনক’।

পাঠকের মতামত