প্রকাশিত: ২৫/০৩/২০১৭ ৪:২০ পিএম

এম.বশিরুর আলম,লামাঃ

লামায় এক প্রবীন দম্পতিকে জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তদরা। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বনপুর লামারপাড়ায় শুক্রবার গভীর রাতে এই লোমহর্ষক হত্যাকান্ড ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, বয়:জৈষ্ট সাবেক ইউপি মেম্বার হ্লাচিং মার্মা (৭০), তার স্ত্রী চিংহ্লামে মার্মা (৬৫) কে ঘুমন্তবস্থায় কে বা কারা জবাই ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। শনিবার সকালে থানার ওসি মো: আনোয়া হােসনে পুলিশ নিয়ে ঘটনা স্থলে পৌঁছে প্রাথমিক সুরত হাল করে। একই সময় পাড়া পরিদর্শন করেন, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু, চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী, ইয়াংছা সেনা ক্যাম্প কমান্ডার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল, ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার, গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা, প্রেসক্লাব সভাপতি প্রিয়দর্শী বড়–য়া।
এরপর বিকেলে লাশ দু’টা বান্দরবান মর্গে পাটিয়েছে পুলিশ। হত্যারকারীরা ঘরে ঢুকে অর্থ সম্পদ লুট করতে গিয়ে বৃদ্ধ হ্লাচিং মার্মাকে জবাই ও তার স্ত্রী চিংহ্লামেকে পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে বলে জানাযায়। নিহতের ছেলে উহ্লামং জানায়, রাত ১১ টায় বাবা আমার বসতঘর ঘেসে বোনের দোকানে চা-পান করে ঘরে ঘুমাতে যায়; এরপর ভোরে জানালা দিয়ে দেখতে পাই বাবা-মা দু’জনই রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে।
জানাযায়, বিগত দিনে হ্লাচিং মার্মার দু’নাতি স্কুলে যাওয়ার পথে অপহরণ হয়েছিল। ওই ঘটনার বিষয়টি জানাজানি না করে মুক্তিপনের বিনিময়ে তার নাতিদেরকে অন্য একটি এলাকা থেকে উদ্ধার করেন। এর কিছুদিন পর একরাতে দুর্বৃত্তরা তার ঘরে ঢুকে লক্ষাধিক টাকা লুটে নেয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে। তার পরিবারের সাথে ঘটে যাওয়া দুর্বৃত্তাচরণের ঘটনায় আইনি সহায়তা চাননি বয়:জৈষ্ট এই সাবেক জনপ্রতিনিধি। অবশেষে এই প্রবীন দম্পতি জীবন দিয়েই চরম খেসারত দিলেন; আইনের সাহায্য না চাওয়ার করুন পরিনতির; এসব মন্তব্য করলেন এলাকাবাসী। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জোড়া খুনের বিষয়ে কাউকে আটক করা যায়নি, হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। বান্দরবান জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, ।

পাঠকের মতামত

অভিভাবকহীন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা’র সীমান্তঘেষা ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ’র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি’দের মেয়াদ ৫ বছর পূর্ণ হয়েছে গত নভেম্বর ...