প্রকাশিত: ১৫/০২/২০১৭ ৮:৩১ পিএম , আপডেট: ১৫/০২/২০১৭ ৮:৪০ পিএম

গোলাম মওলা, রামু।

বসন্ত হল বাংলার ঋতুর রাজা । বসন্ত এলে ফাল্গুনের শুরুতে কোকিলের কুহু কুহু ডাক আর গাছে জেগে উঠেছে সবুজ পাতা,ফলজ গাছ গুলোতে মুকুল দেখা যায়। আম, লিচু ,কাঠাঁল ,গাছে মুকুল দেখে বোঝা যায় শীত বিদায় নিয়ে আবার ঋতুরাজ বসন্ত নিয়ে এলো ফাল্গুন । ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে গ্রামবাংলার প্রকৃতিতে রাঙিয়ে ফুটেছে সবুজের মাঝে নানা রংয়ের ফুল।আগেকার দিনে শিমুল, কদম গাছের সেই ফুলের নাম আর ছবি দিয়ে নানা ছন্দে কবি সাহিত্যিকরা লিখেছে কত কবিতা আর সাহিত্য।আজ বসন্ত এসেছে ফাল্গুনের ছোঁয়া পেয়ে গ্রামবাংলা সেজেছে প্রকৃতি নতুন সাজেঁ। এখন সেই আগের মত শিমুল , কদম ,কৃষ্ণচুড়া গাছ নেই। নেই পাখির কুলাহল ,নেই সেই আগের মত আনন্দ নেওয়ার মনোরম পরিবেশ, নেই সবুজের সমারোহ তাই ফাগুনের রঙে রাঙানো রক্তলাল শিমুল গাছকে নিয়ে কবিতা লেখার মত মানুষও নেই।

প্রবীণ ব্যাক্তিরা ছোট বেলায় আমাদেরকে বলতেন এমন একদিন আসবে সব আনন্দ হারিয়ে যাবে।আমরা এখন বড় হয়ে দেখতেছি আগে গ্রামবাংলার বিভিন্ন এলাকায় শিমুল,কদম ,কষ্ণচুড়ার সেই বড় বড় গাছ আর চোখে পড়েনা।। এই গাছ গুলি যেমন প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করত তেমনি বছরের বারটি মাসে ফুলে ফলে ভরিয়ে দিয়ে সবুজের সমারোহে মনোরম পরিবেশে মানুষের মনের আনন্দের খোরাক হত।কদম, শিমূল ঔষধি গাছ হিসেবেও পরিচিত। গ্রামাঞ্চলের মানুষ বিষ ফোড়াতে,আখের গুড় তৈরিতে কদম,শিমুলের রস ও কোষ্ঠ কাঠিণ্য নিরাময়ে গাছের মূলকে ব্যবহার করতো। বর্তমানে নানা কারনে তা হ্রাস পেয়েছে।কদম, শিমুল কেউ রোপণ করেনা এমনিতেই জন্মায়। দিনে দিনে বড় হয়ে একদিন বিশাল আকৃতি ধারন করে। গ্রাম বাংলার হত দরিদ্রর মানুষেরা এই শিমুলের তুলা কুড়িয়ে বিক্রি করতো। অনেকে নিজের গাছের তুলা দিয়ে বানাতো লেপ,তোষক,বালিশ। আগের তুলনায় এখন শিমুলের তুলার দাম অনেক বেড়ে গেছে। এর পরেও এই গাছ নিধন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। যার কারণে গ্রামবাংলা থেকে বিলুপ্তির পথে এ গাছ গুলো। কাঠ ব্যবসায়ীরা বড় বড় গাছ কিনে নিয়ে ম্যাচ ফ্যাক্টরি, নৌকা, ইমারত তৈরীতে ও শাটারিংয়ের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া ছোট ছোট গাছ নিধন করে পোড়ানো হচ্ছে ই্টভাটা ও বেকারি গুলোতে।

গাছ না থাকায় পাখিরা আমাদের ছেড়ে চলে গেছে অজানা দেশে।আগের দিনের সকাল কিংবা সন্ধ্যায়, এক ঝাঁক পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত পরিবেশ। নিজ ঘরে বসে শেষ কবে উপভোগ করেছি মনে পড়েনা।। আগে যেখানে বাড়ির বাইরে সবারই দু-চারটা ফলজ, বনজ গাছ ছিল, সেখানে নগরায়ণের প্রচেষ্টায় গাছেরা আজ ঠাঁই পেয়েছে বারান্দা আর জানালার পাশে সাজানো ছোট্ট টবের ভেতর।ফলজ, বনজ আর ঔষধি গাছের বদলে ফুল ও পাতাবাহার গাছের জায়গাটুকুই অবশিষ্ট রয়েছে। যার ফলে পাখিরা হারিয়েছে তাদের নীড়। উঁচু উঁচু দালানের ভিড়ে বসবাসের স্থান অনেক হলেও তাদের জায়গাটুকু অবশিষ্ট নেই। তাই দিন দিন পাখির সংখ্যা শুধু কমেই চলেছে।বিকেল গরিয়ে যখন সন্ধ্যা আসত তখন আকাশজুড়ে পাখিরা দল বেঁধে উড়ে বেড়াত। সে ছিল এক অপরূপদৃশ্য। তাইতো এখন চড়ুই, শালিকসহ অনেক প্রজাতির পাখি আর দেখা যায় না।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা আরএসও এবং মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ‘সমঝোতা’!

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়িত রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিদ্রোহকে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির অস্তিত্বের হুমকি হিসেবে ...

সাবেক এমপি বদিকে চট্টগ্রাম কারাগারে স্থানান্তর

কক্সবাজারের টেকনাফে হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাবন্দি সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদিকে নিরাপত্তাজনিত কারণে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ...

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর : সাড়ে চার বছরে বাস্তবায়ন শূন্য

আওয়ামী লীগ সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর একটি কক্সবাজারের ‘মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর উন্নয়ন’ প্রকল্প। তবে সেটি অনুমোদন ...

আজীবন অবাঞ্ছিত ঘোষণা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি, সম্পাদকসহ তিন চিকিৎসককে

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে র্যা গিং এ জড়িত থাকায় তিন ৩ চিকিৎসককে কলেজ ক্যাম্পাসে আজীবন অবাঞ্ছিত ...