প্রকাশিত: ০৪/০৯/২০১৭ ৭:৪৩ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ২:০৫ পিএম

নিউজ ডেস্ক::
মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা আহত রোহিঙ্গারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সোমবার সকালে আরও তিন রোহিঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তারা হলেন- আব্দুল বারেক (২২), কলিমুল্লাহ (২৫) ও চান মিয়া (৩৫)। সবমিলে এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৪ রোহিঙ্গা। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থার অবনতি হয়েছে।

আহতরা হাত-পাসহ শরীরের নানা জায়গায় গভীর ক্ষত নিয়ে কাতরাচ্ছেন হাসপাতালের বেডে। ক্ষতস্থানের পচন থেকে দুর্গন্ধ ছড়ানোয় হাসপাতালে অন্য রকম পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

এরই মধ্যে ক্ষতস্থানে পচন ধরায় সোমবার দু’জনের পা কেটে ফেলতে হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আহত ব্যক্তিদের ক্ষতস্থানের ব্যান্ডেজের ওপর পোকা হাটছে, বিকট দুর্গন্ধ। রোগীর কাছে যারা যাচ্ছেন, তাদেরও কাপড়ে নাক চেপে যেতে হচ্ছে।

হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া রোহিঙ্গারা জানান, তাদের ব্যান্ডেজ পরিবর্তন, ড্রেসিং ঠিক সময়ে করা হচ্ছে না। সময়মতো ওষুধও দেওয়া হচ্ছে না।

পুলিশ পাহারার মধ্যেই এসব রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসার বিষয়ে দায়িত্বরত মাহী নামের এক কনস্টেবল জানান, চিকিৎসার বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে। তাদের কাজ শুধু রোহিঙ্গাদের পাহারা দেওয়া।

উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্ট মধ্যরাতের পর রোহিঙ্গা যোদ্ধারা অন্তত ২৫টি পুলিশ স্টেশন ও একটি সেনাক্যাম্পে প্রবেশের চেষ্টা করলে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।

এরপর রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে হেলিকপ্টার গানশিপের ব্যাপক ব্যবহার করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এতে মিয়ানমার সরকারের হিসাবে ৪ শতাধিক রোহিঙ্গা মুসলিম নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে আহত শত শত রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু বাংলাদেশে এসেছেন।

অবশ্য চলতি মাসের শুরুতে রাখাইনে সেনা মোতায়েন করে মিয়ানমার সরকার। ঘোষণা দেয় অভিযানের। এরই মধ্যে গ্রামের পর গ্রাম রোহিঙ্গাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। বর্মি সেনাদের গণহত্যার বদলা নিতেই রোহিঙ্গা স্বাধীনতাকামীরা পুলিশ পোস্টে হামলা ও একটি সেনাঘাঁটিতে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে।

গত বছরের অক্টোবরে রোহিঙ্গাদের ওপর এমনই এক হামলার ঘটনায় জাতিসংঘের সাবেক প্রধান কফি আনানের নেতৃত্বে গঠিত কমিশন তাদের প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের ওপর থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার এবং তাদের নাগরিকত্ব প্রদানের আহ্বান জানায়।

কফি আনানের প্রতিবেদনের কয়েক ঘণ্টা পরই রোহিঙ্গাদের গ্রামে গণহত্যা শুরু করে বর্মি সেনারা।

সংঘর্ষের পর স্রোতের বেগে সীমান্তে আসছে নির্যাতিত রোহিঙ্গারা। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রায় ২৭০ কিলোমিটার সীমান্ত। এসব এলাকায় বাংলাদেশ সীমান্ত বাহিনী বিজিবির কড়া নজরদারি থাকা সত্ত্বেও তারা রাতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছে।

পাঠকের মতামত

প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপনকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনী

ঢাকা, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রামুসহ সারা দেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা শান্তিপূর্ণভাবে যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘর্ষ, বাংলাদেশিসহ গুলিবিদ্ধ ৫

কক্সবাজারের উখিয়ার জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক বাংলাদেশিসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।ক্যাম্প অভ্যন্তরের থাকা ...

রামু সরকারি কলেজে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ৩ দিনে, ২ সপ্তাহেও চিঠি পাননি তদন্ত কর্মকর্তা

কক্সবাজারের রামু সরকারি কলেজের অচলাবস্থা নিরসনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে আর্থিক ক্ষমতা দেওয়ার জন্য গত ১ অক্টোবর ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বিয়ে করতে মালয়েশিয়া যাচ্ছিল দুই তরুণী

সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতিকালে কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১২ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষসহ ২০ জনকে ...

উখিয়ায় উন্মুক্ত কারাগারের জায়গা পরিদর্শনে নবনিযুক্ত ‘আইজি প্রিজন্স’

কক্সবাজারের উখিয়ায় দেশের প্রথম উন্মুক্ত কারাগারের জায়গা ও জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন নবনিযুক্ত আইজি প্রিজন্স ...