অক্টোবর মাস থেকে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। এমনই আভাস দিয়েছেন জাহাজ কর্তৃপক্ষ। জাহাজ চলাচলের অনুমতি খুব শিগগিরই পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
সাগর উত্তাল থাকার পাশাপাশি কালবৈশাখীর আশঙ্কায় দুর্ঘটনা এড়াতে চলতি বছরের ৩১ মার্চ থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন ও সেন্টমার্টিন-কক্সবাজার—দুটি নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয় স্থানীয় জেলা প্রশাসন। ওই সময় এ দুটি নৌপথে ১০টি জাহাজ চলাচল করেছিল। অক্টোবর মাসের প্রথম থেকেই টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল শুরু হবে। এর ফলে পর্যটকরা টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজে চড়ে সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন।
কক্সবাজার ট্যুরস অ্যাসোসিয়েশনের (টুয়াক) সভাপতি আনোয়ার কামাল বলেন, জাহাজ চলাচলের অনুমতির ব্যাপারে এবারও টুয়াকের পক্ষ থেকে অক্লান্ত প্রচেষ্টা চলছে। চলতি মাসেই টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাল চলাচলের অনুমতি পাবো বলে আশা করছি।
পর্যটকবাহী জাহাজ কর্ণফুলী এক্সপ্রেস মালিক বাহাদুর হোসাইন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলে অক্টোবর মাসের প্রথম থেকেই জাহাজ চলাচল শুরু করবে। ইনশাআল্লাহ আমরা অক্টোবর মাসের প্রথম থেকে টেকনাফ -সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল শুরু করবো।
উল্লেখ্য, পাশাপাশি কালবৈশাখীর আশঙ্কায় দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি অনুকূল থাকায় আবারও পর্যটক পারাপারের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। কারণ প্রতিবছর অক্টোবরের শুরু থেকে পরের বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ রুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার।
পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হলে আগের নিয়মে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টায় টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে জাহাজ ছেড়ে যাবে।
পাঠকের মতামত