সবার অগোচরে নিবন্ধন নবায়ন করেছে জামায়াত নেতা আবু ইউসুফের এনজিও ‘আমান’। এরই মধ্যে এই এনজিওটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের নামে বিদেশ থেকে তহবিল এনে সন্দেহজনক খাতে ব্যয়ের অভিযোগ উঠেছে।
এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক জানিয়েছেন, বিষয়টি তদন্ত করছেন তারা। জঙ্গি অর্থায়নের মতো সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।
যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারকে পাকিস্তানে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করার অভিযোগে, ২০১২ সালে গ্রেপ্তার হন ড. আবু ইউসুফ নামের সাবেক এক জামায়াত নেতা। বর্তমানে ‘এসোসিয়শেন ফর মাস এডভাসমেন্ট নেটওয়ার্ক’ বা ‘আমান’ নামের একটি এনজিও পরিচালনা করছেন তিনি। রোহিঙ্গাদের নিয়ে নানা কর্মকাণ্ড করছে এনজিওটি। এ ছাড়াও সারাদেশে চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার ও আল ইমদাদ ফাউন্ডেশন নামে আরও কয়েকটি সংস্থাও রয়েছে এই আবু ইউসুফের।
তার সবগুলো সংস্থার ব্যাংক হিসাব ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায়। জামায়াত নিয়ন্ত্রিত ইসলামী ব্যাংকের ফার্মগেট শাখায় তার নামে একটি,পান্থপথ শাখায় আমান যাকাত ম্যানেজমেন্ট নামে একটি ও আমান এর নামে আরও দুটি অ্যাকাউন্ট তিনি ব্যবহার করেন। এসব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তিনি জঙ্গি অর্থায়ন করছেন কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।
মেজবাউল হক বলেন, মানি লন্ডারিং এজেন্সি প্রতিরোধ আইনের আওতায় যেসব অপরাধ সংগঠিত হয় সেগুলো যদি উদঘাটিত হয়, সে ক্ষেত্রে আমাদের যে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) আছে তারা তদন্ত করে দেখে। প্রাথমিক সত্যতা মিললে এনফোর্সিং এজেন্সি আছে, সাধারণত পুলিশ বিভাগের সিআইডি, দুদক এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের যে অফিস থাকে তাদের সহায়তায় তারা এ জিনিস করে এনফোর্সমেন্ট করেন।
এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক জানান আমান নামের এনজিওটি সবার অগোচরে এরই মধ্যে তাদের নিবন্ধন নবায়ন করেছে। কিন্তু জঙ্গি অর্থায়ন হচ্ছে কিনা সেটি তদন্ত করবে এনজিও ব্যুরো।
এনজিও বিষয়ক ব্যুরো মহাপরিচালক শেখ মো: মনিরুজ্জামান বলেন, যে দশটা কাজের ভেতরে একটা কাজ সে গোপনে অন্যায় করে করেছে। আইনগতভাবে তার ব্যবস্থা, রেজিস্ট্রেশন ক্যান্সেল করতে হবে।
এ বিষয়ে জামাত নেতা আবু ইউসুফকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। সুত্র:একাত্তর