[মোল্লা নাসিরুদ্দিন কিংবদন্তী রম্য-পুরুষ।তাবৎ দুনিয়ার মানুষ এখনও বিভোর তাঁর কৌতুক আর রসরঙ্গে।সম্প্রতি অন্তর্জালে হাবুডুবু খেতে গিয়ে মোল্লা নাসিরুদ্দিনের অমিয় বাণী আর কৌতুকের ইংরেজি জবানে এক সংকলন পেয়ে যাই অধম।এ থেকেই খানিকটা বঙ্গানুবাদ করে পাঠক-পাঠিকাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছিলাম এর আগের পর্বে।এবারে এর ২য় পর্ব পত্রস্থ করা হলো।ধারাবাহিক চলবে।]
এক-গাধাঃ
একদিন এক প্রতিবেশী মোল্লা নাসিরুদ্দিনের সাথে দেখা করলেন।
-তোমার গাধাটা আমাকে একদিনের জন্য ধার দেবে?
-দুঃখিত, গাধাটা একটু আগেই আরেকজনের কাছে ধার দিয়েছি।
মোল্লা নাসিরুদ্দিন এই কথা বলতে না বলতেই তার খোয়াড় থেকে গাধার আওয়াজ ভেসে এলো।
-কিন্তু তোমার গাধার আওয়াজ পাচ্ছি যে? প্রতিবেশী জিজ্ঞেস করেন।
-ছি, ছি। আপনি আমার চেয়ে আমার গাধার কথাই বেশি বিশ্বাস করছেন? মোল্লা নাসিরুদ্দিন বিরক্ত কন্ঠে বলেন।
দুই-শব্দের গতিতেঃ
একদিন মোল্লা নাসিরুদ্দিন এক মসজিদের মিনারের উপর উঠে গলা ছেড়ে চিৎকার করলেন। সাথে সাথে নেমে এসে জোরসে দৌঁড় দিলেন।
-কী ব্যাপার? দৌঁড়াচ্ছেন কেনো? এক পথচারী জিজ্ঞেস করলেন।
-আমার কন্ঠ কদ্দুর গিয়ে পৌঁছায় দেখছি। মোল্লা নাসিরুদ্দিনের উত্তর।
তিন-মানুষের সেরা গুণঃ
-মানুষের সেরা গুণ কয়টি ও কী কী? একদিন কেউ একজন জিজ্ঞেস করলেন মোল্লা নাসিরুদ্দিনকে।
-এক দার্শনিক আমাকে একবার বলেছিলেন, মানুষের সেরা গুণ দুইটি।ওই দার্শনিক এই দুইটির মধ্যে একটি ভুলে গিয়েছিলেন। অবশ্য, অন্যটি আমাকে বলেছিলেন। তবে সত্যি বলতে কি, আমি সেটিও ভুলে গেছি। মোল্লা নাসিরুদ্দিনের উত্তর।
চার-চাঁদ-সূর্যঃ
-মানুষের জন্যে কোনটা বেশি উপকারি-চাঁদ, না সূর্য? একদিন এক লোক জিজ্ঞেস করলেন মোল্লা নাসিরুদ্দিনকে।
-অবশ্যই চাঁদ। কারণ, রাতেই আমাদের বেশি আলোর দরকার পড়ে।
পাঁচ- প্রশ্ন দিয়ে উত্তরঃ
-আপনি সবসময় এক প্রশ্নের উত্তর অন্য প্রশ্ন দিয়ে দেন কেনো? মোল্লা নাসিরুদ্দিনকে একবার জিজ্ঞেস করা হলো।
-তাই নাকি? মোল্লা নাসিরুদ্দিনের উত্তর।
ছয়-চশমাঃ
একবার গভীর রাতে মোল্লা নাসিরুদ্দিন স্ত্রীর ঘুম ভাঙ্গালেন।
-এই উঠ, উঠ-আমাকে তাড়াতাড়ি চশমাটা দাও।
-এই গভীর রাতে তুমি চশমা দিয়ে কী করবে? স্ত্রী জানতে চাইলেন।
-বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা স্বপ্ন দেখছি-কিন্তু স্বপ্নটা সামান্য ঝাপসা দেখা যাচ্ছে। মোল্লা নাসিরুদ্দিন বললেন।
মোহাম্মদ শাহজাহানঃ এডভোকেট, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।