নিরাপত্তার স্বার্থে ১৮ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বান্দরবানের রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্থানীয় প্রশাসন এ তথ্য জানায়। জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে দেশের পার্বত্য অঞ্চলে মাথাচাড়া দেওয়া সংগঠন ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ কে বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্র আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেছেন, তাদের ধ্বংসাত্মক আচরণ প্রতিহত করা হবে। রোববার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ যার সংক্ষিপ্ত নাম- কেএনএফ। দেশের পার্বত্য অঞ্চলে হঠাৎ মাথাচাড়া দেওয়া সংগঠনটি এখন ভয়ংকররূপে আত্মপ্রকাশের চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। স্বাধীন বাংলাদেশের ভূখণ্ড বিচ্ছিন্ন করার নীলনকশাও বাস্তবায়নের অপচেষ্টা করে যাচ্ছে তারা। শুরুর দিকে শান্তিপ্রিয় সংগঠন হিসেবে কাজ করলেও বর্তমানে বিষধর সাপের মতো ফণা তুলতে শুরু করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী আঞ্চলিক এ সংগঠন।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, তাদের এমন আচরণ সহ্য করা হবে না। তাদের প্রতিহত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কেএনএফসহ আরও কয়েকটি বাহিনী রয়েছে, আপনারা জানেন। এরা সবসময়ই আমাদের সীমান্ত এলাকায় একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য প্রয়াস চালাচ্ছে। আমাদের সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে আমাদের পুলিশ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলাতেই রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যখনই যা প্রয়োজন, আমাদের পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, প্রয়োজনে সেনাবাহিনীও সেখানে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আমরা আমাদের এলাকায় থাকতে দিচ্ছি না, তাদের সরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘যখনই টের পাচ্ছি, যেকোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী কিংবা কোনো জঙ্গি সংগঠন বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় তারা অবস্থান করছে, আমরা তাদের সরিয়ে দিচ্ছি।’
কেএনএফের সঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গিদের সংশ্লিষ্টতা আছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার বিষয়গুলো আমরা দেখছি। যদি কানেকশন পাই, সেটা আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা ধারণা করছি যে, জঙ্গিরা ওখানে গিয়েছিল। তারা কেএনএফের ক্যাম্পের পাশাপাশি অবস্থান করছিল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এগুলো ঘটনা দেখছি, কয়েকজনকে নিয়েছি এবং কয়েকজনকে শনাক্ত করেছি। আমরা তাদের কাছ থেকে বিষয়গুলো জেনে আপনাদের জানাব।’