ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার থেকে::
কোন ধরণের নিয়মনীতি ও আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে রীতিমত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থাতেই চলছে দেশের হেলিকপ্টার সার্ভিস। বেসামারিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হরদম চলাচল করছে এসব হেলিকপ্টার কোম্পানি। কর্পোরেট চলাচলের নামে লাইসেন্স নিয়ে প্রকাশ্যেই তারা চালাচ্ছে বাণিজ্যিক ফ্লাইট। দিবারাত্রি সমানতালে পাচার করছে ভংঙ্কর মাদক ইয়াবা। শুধুই তাই নয় এসব হেলিকপ্টারে নেই দক্ষ পাইলট ও স্টাফ। অনুরূপ অবস্থা বিরাজ করছে বেসরকারী এয়ারলাইন্স গুলোর বেলায়ও। সেখানেও নেই কোন নিয়ম শৃঙ্খলা। সিট না থাকলেও অবৈধভাবে যাত্রীদের মোড়ায় বসিয়ে চলছে রমরমা হেলিকপ্টার বাণিজ্যের অভিযোগ। এক্ষেত্রে প্রতিটি দূরত্বে গড়ে দেড় থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে। এক হাজার ফুটের নিচে হেলিকপ্টার চালানোর নিয়ম না থাকলে ও বেশিরভাগ হেলিকপ্টার চলছে ৫০০ফুটের নিচ দিয়ে। এ রকম একটি যাত্রীবাহি হেলিকপ্টার কিছুদিন আগে বিধ্বস্ত হয়েছে কক্সবাজারের ইনানিতে। সেখানে ঘটনাস্থলে মারাও গেছেন একজন। অবিশ^াস্য হলে সত্য তবুও কয়েকদিন আগে কক্সবাজার সৈকতের ঢেউ ছুঁয়ে হেলিকপ্টার গেছে একটি। জানাগেছে, বাংলাদেশের শুধু দুটি হেলিকপ্টারের রাতে ফ্লাই করার অনুমতি থাকলেও বেআইনিভাবে এখন সব কোম্পানিই ২৪ঘন্টা ফ্লাইট চালাচ্ছে। এ দিকে অনিয়ম দূর্নীতি আর লুটপাটের আখড়ায় পরিণত হয়েছে দেশের বেসরকারী ইয়ারলাইন্স ব্যবসা। বিলাসবহুল অফিস আর শো-রুম ছাড়া ব্যবসার পুরোটাই শুভংকরের ফাঁকি। যাত্রি পরিবহনের নামে এ সেক্টরের ব্যবসায়িরা প্রতিবছর শত কোটি টাকার ও বেশি চোরাচালান আর আদম পাচারের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
পাঠকের মতামত