আলোচনা-সমালোচনার বাঁধা পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ‘অপরাজিতা’। প্রথম থেকেই অভিযোগ রয়েছে ভারতীয় সিরিয়ালের আদলে তৈরী হয়েছে এই মেগা ধারাবাহিকটি। কিন্তু এ অভিযোগকে পাড়ি দিয়ে এগিয়ে চলছে নাটকটি। আগামীকাল শনিবার প্রচার হবে নাটকটির ১৫০তম পর্ব। ওপার বাংলার প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবির উপন্যাস ‘বালুচারী’ অবলম্বনে দীপ্ত টিভিতে প্রচারিত হচ্ছে নাটক ‘অপরাজিতা’। হার না মানা এক নারীর গল্প এটি। আর এই অপরাজিতা নারী মন্দিরা। এ চরিত্রে অভিনয় করছেন নাইরুজ। তার হাত ধরেই গল্পের পরিধি বাড়ছে। বিস্তৃত হচ্ছে চিত্রনাট্য। তাইতো সবাই এখন তাকে ‘মন্দিরা’ বলে ডাকছেন।
এ নাটকের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি নিয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নাইরুজ বলেন, ‘উপন্যাসের চরিত্র অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জন্য বরাবরই চ্যালেঞ্জের। আমার জন্যও সেটা কম ছিল না। শুধু পর্দায়ই নয়, পর্দার পেছনেও চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে। অডিশন দিতে হয়েছে। দিতে হয়েছে স্ক্রিনটেস্ট। অর্ধশতাধিক প্রতিযোগীকে টপকে চরিত্রটি পেয়েছি।এখন মনে হচ্ছে সিদ্ধান্তটা পুরোপুরি যথার্থ ছিল। সবাই এখন আমাকে মন্দিরা নামে ডাকে। প্রথম থেকেই সবার সহযোগিতা পেয়েছি বলে এ ধরণের চরিত্রে নিজেকে উপস্থাপন করতে পেরেছি। ‘
নাইরুজ বলেন, ‘সবাই অভিযোগ করেছেন নাটকটি ভারতীয় সিরিয়ালের আদলে। কিন্তু এটা বোঝার চেষ্টা করেন না এ নাটকে অনেক কিছুই আলাদা। আমরা তাদের চেয়ে ভাল সিরিয়াল তৈরীর যোগ্যতা রাখি। যারা নিয়মিত ভারতীয় সিরিয়াল দেখেন, তারা পার্থক্যটা অবশ্যই বুঝবেন। এখানে সেই রকম দাম্পত্য কলহের তীব্রতা নেই। এছাড়া হিন্দু সাংস্কৃতিক বলয়ের নাটক হওয়া সত্ত্বেও এখানে সেইভাবে পূজা-অর্চনাও দেখানো হয় না। তুলে ধরা হচ্ছে দেশীয় সংস্কৃতি।’
তিনি আরও বলেন, ‘খেয়াল করে দেখবেন, মেকাপ এবং গেটআপে দেশীয় ঐতিহ্য রয়েছে। দেখানো হচ্ছে তাঁতের শাড়ির মতো দেশীয় শাড়ি। সুতরাং, ঢালাওভাবে এ অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়।’
দেড়শ’ পাড়ি দিল সামনে আর কত দূর এমনটা জানতে চাইলে নাইরুজ বলেন, ‘দেখুন এটি একটি উপন্যাসনির্ভর নাটক। চাইলেও বাড়তি কিছু যোগ করা সম্ভব নয়। তবে চেষ্টা করা হচ্ছে নাটকটি যেন হাজার পর্ব পাড়ি দিতে পারে।’
মিডিয়ার সঙ্গে নাইরুজের সম্পর্ক শুরু ২০১২ সালে, বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে। এ পর্যন্ত প্রায় দেড় ডজন টিভিসিতে কাজ করেছেন লাস্যময়ী এ মডেল ও অভিনেত্রী। বাবা একেএম নুরুল আলম তালুকদার ছিলেন বিটিভির ‘এ’ তালিকাভুক্ত শিল্পী। নাইরুজ অল্প বয়স থেকেই অনুপ্রাণিত বাবার কাজ দেখে। ছোটবেলায় চেয়েছিলেন বড় হয়ে নাচের শিল্পী হবেন। সপ্তাহে সাতদিন শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও স্বপ্নটা এখনো বহন করেন তিনি। চেষ্টা করেন নাচ নিয়ে কিছু করতে।
বিডি প্রতিদিনি
পাঠকের মতামত