কক্সবাজারের -টেকনাফে ৬ বছরে খুন ১৬১ জন! ক্রমে দেশের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। যত দিন যাচ্ছে রিফিউজি ক্যাম্পগুলি যেন ততই অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠছে।
রোহিঙ্গা শিবিরের পর এবার আধুনিক ভাসানচর ক্যাম্পে গিয়েও খুনোখুনি থামছে না রোহিঙ্গাদের মধ্যে।
২০১৭ সালে মায়ানমারে সেনা অভিযানের মুখে প্রাণ বাঁচাতে হাজারে হাজারে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে আশ্রয়ের পর রোহিঙ্গাদের একাংশ ইয়াবা কারবার, অপহরণ, দেহ ব্যবসার মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। এরপর রয়েছে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে এই অবধি খুনোখুনিতে ১৬১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এবার জাহিদ হোসেন (১৫) নামের এক রোহিঙ্গা কিশোর হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই রোহিঙ্গা কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার তাদের আদালতে তোলার পর কারাগারে পাঠানো হয়।
ভাসানচর থানার ওসি মহম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, নিহত জাহিদ ৮ জুন ভাসানচরে নিজের বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি।অনেক খোঁজাখুঁজির পরও জাহিদকে না পেয়ে তার স্বজনরা বিষয়টি পুলিশকে জানান। ১২ জুন ভাসানচরের আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশে তাঁর লাশ উদ্দার হয়।
তদন্তে পুলিশ জাহিদের ব্যবহৃত মোবাইল-সহ আবদুল্লা নামের একজন ব্যক্তিকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ দুই কিশোরকে আটক করে।
মায়ানমারের জঙ্গি সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি তথা আরসা-কে মদত দিচ্ছে পাকিস্তানের আইএসআই।
আরসা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীটির সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টালিজেন্স ও তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের মতো সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির যোগ দীর্ঘদিনের।
২০১৭ সালের আগস্টে আরসা মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালানোর পর থেকেই সেখানে সেনা অভিযান শুরু হয়। বাংলাদেশ সরকারের মাথাব্যথা বাড়িয়ে শরণার্থী ক্যাম্পগুলিতে প্রভাব বৃদ্ধি করছে আরসা