ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার ::
কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠছে পর্যটন শহর কক্সবাজার। মাত্র দেড় বর্গ কিলোমিটার এলাকায় গড়ে উঠেছে সাড়ে চারশো হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট ও কটেজ। এ অবস্থায় অপরিকল্পিত উন্নয়নের লাগাম টানতে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রণয়ন করেছে মাস্টার প্ল্যান। সৈকত নগরী কক্সবাজারে আসা পর্যটকদের স্বাগত জানাতে কলাতলী পয়েন্টে স্থাপিত মাছের ফোয়ারাটির’ অবস্থা সঙ্গীন। সংস্কার করে দৃষ্টিনন্দন করে তোলার কোনো উদ্যোগ নেই। মাছের ফোয়ারা হয়ে শহরে ঢুকতেই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে অগণিত ব্যাটারি চালিত টম টম। এরপর শুধু সারি সারি হোটেল। আর কিছুই নেই। কোনো রকম পরিকল্পনা ছাড়াই গড়ে উঠছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের এ শহর। কক্সবাজার নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী সুমন বড়ুয়া বলেন, ‘রাস্তাঘাট, ফুটপাত, ড্রেজিং সিস্টেম সর্বোপরি মিলিয়ে আধুনিক শহর বলতে যা বোঝায় সেটি কক্সবাজার নয়।’কক্সবাজার নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী বদিউল আলম বলেন, ‘বৃষ্টি হলেই নালা নর্দমা গুলো ভরে শহরটা পুরোটাই ময়লা আবর্জনায় ভরে যাচ্ছে।’কোনো রকম খালি জায়গা কিংবা বিনোদনের ব্যবস্থা না রেখেই যত্রতত্র গড়ে উঠেছে শুধু হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট। এ অবস্থায় পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের জন্য কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান লে. কর্নেল ( অব.) ফোরকান আহমেদ বলেন, ‘কক্সবাজারকে একটি আধুনিক নগর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’ গত বছর গঠিত কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে কক্সবাজারকে পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে নিয়েছে বেশ কিছু পদক্ষেপ। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সরোয়ার উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই শহরে যা যা ইতিমধ্যে আছে তা সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।’ নতুন ডিটেইল মাষ্টার প্ল্যানে আড়াই বর্গ কিলোমিটারের কক্সবাজার শহর ছাড়াও ৯শ ৬২ বর্গ কিলোমিটারের সাতটি উপজেলাকেও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে রাখা হয়েছে।