আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ম্যাচের কথা উঠলে সবার আগে আসবে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল দ্বৈরথের নাম। আর সেটা যদি হয় কোপা আমেরিকার মতো ফাইনালের মঞ্চে, তবে তো কথাই নেই। দীর্ঘ ১৪ বছর পর আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল মেগা ফাইনালের সাক্ষী হলেন ফুটভক্তরা। প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে শুরু হলো ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দ্বৈরথ।
রিও দে জেনিরোর বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামে রোববার বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় কোপা আমেরিকার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে দুই লাতিন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী।
খেলার প্রথম তিন মিনিটের মাথায় ফাইনালের ম্যাচে হলুদ কার্ড। খেলা শুরু না হতেই ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখলেন ব্রাজিলের ফ্রেড। সাইডলাইনে মন্টিলকে ফাউল করায় ফ্রেড এই শাস্তি পান।
২২ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ডি মারিয়ার গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। রদ্রিগো দি পলের লম্বা করে বাড়ানো পাস থেকে বল পান ডি মারিয়া। ডান প্রান্ত থেকে ছুটে গিয়ে ব্রাজিলের গোলরক্ষক মোরায়েসের মাথার উপর দিয়ে বল জালে জড়ান তিনি। ২০০৪ সালে সিজার দেলগাদোর পর ডি মারিয়া প্রথম আর্জেন্টাইন ফুটবলার, যিনি কোপার ফাইনালে গোল করলেন।
ম্যাচের ৩৩ মিনিটে নেইমারকে ফাউল করার জন্য হলুদ কার্ড দেখেন পারেদেস।
৩৪ মিনিটে বিপজ্জনক জায়গা থেকে ফ্রি-কিক পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি ব্রাজিল।
৪৪ মিনিটে নেইমারের কর্ণার থেকে আক্রমণ চালান রিচার্লিসন। যদিও তা মাঠের বাইরে চলে যায়।
প্রথমার্ধ শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা। আক্রমণ ও বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও ব্রাজিলকে দেখাচ্ছে ছন্নছাড়া। প্রথমার্ধের ৫৪ শতাংশ সময় বল ছিল নেইমারদের পায়ে। ব্রাজিল ৬টি শট নিয়েও গোল পায়নি অন্যদিকে আর্জেন্টিনার ৩টি শটের মধ্যে ১টি গোল। হলুদ কার্ড দেখেছেন ব্রাজিলের ফ্রেড ও আর্জেন্টিনার পারেদেস।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই একের পর এক জোরাল আক্রমণ করতে থাকে ব্রাজিল। যার সুবাদে ম্যাচের ৫২ মিনিটেই পেয়ে যায় গোলের দুর্দান্ত সুযোগ। ডি-বক্সের মধ্য থেকে সেটি কাজেও লাগিয়েছিলেন রিচার্লিসন। কিন্তু আক্রমণের শুরুতে তিনি অফসাইডে থাকায় বাতিল করা হয় গোল।
অপরিবর্তিত প্রথম একাদশ নিয়েই ফাইনালে মাঠে নেমেছে ব্রাজিল। তবে আর্জেন্টিনা প্রথম একাদশে একসঙ্গে পাঁচটি রদবদল করেছে। রিজার্ভ বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে জেল্লা, গঞ্জালেস, মলিনা, ট্যাগলিয়াফিকো ও রদ্রিগেসকে। প্রথম একাদশে ঢুকেছেন আকুনা, রোমেরো, মন্তিয়েল, পারেদেস ও দি মারিয়া।
আর্জেন্টিনার প্রথম একাদশ:
এমিলিয়ানো মার্তিনেস, দি'পল, মেসি, ওতামেন্দি, লো সেলসো, মার্তিনেস এল, আকুনা, রোমেরো, মন্তিয়েল, পারেদেস ও দি মারিয়া।
ব্রাজিলের প্রথম একাদশ:
এদারসন, দানিলো, থিয়াগো সিলভা, মারকিনহোস, কাসোমিরো, রিচার্লিসন, ফ্রেদ, নেইমার, রেনান লোদি, লুকাস পাকুয়েতা ও এভারটন।