স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে রাজি হওয়া ৪ পরিবারের ২৩ রোহিঙ্গাকে মঙ্গলবার থেকে ফের খাদ্য সহায়তা দেওয়া শুরু হয়েছে।
জাতিসংঘের শরাণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর গত সোমবার সকাল থেকে তাদের খাদ্য সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছিল।
কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) এবং সরকারের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান জানান, স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে ট্রানজিট ক্যাম্পে থাকা ৪ পরিবারের ২৩ জন রোহিঙ্গাকে ইউএনএইচসিআর একদিন খাদ্য সরবরাহ বন্ধ রেখেছিল।
এরপর আরআরআরসি অফিসের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বোঝানোর পর যথারীতি খাদ্য সহায়তা দেওয়া শুরু হয়েছে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামছুদ্দৌজা নয়ন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন,‘বিষয়টি নেহায়েত ভুল বোঝাবুঝি। কতদিনের জন্য ওই চার পরিবারকে খাদ্য সরবরাহ দেওয়া হবে, সেটি নিয়ে ইউএনএইচসিআরের ধারণা না থাকায় এমন হয়েছে।
তিনি জানান, পাইলট প্রকল্পে প্রত্যাবাসনে রাজি হয়েছে এই চার পরিবার। এর মধ্যে রোহিঙ্গা আমির হোসেনের পরিবারে ৫ জন, মোহাম্মদ হাসানের পরিবারে ৭ জন, হোসান জোহারের পরিবারের ৫ জন ও মোহাম্মদ হাসানের পরিবারের ৬ সদস্য রয়েছেন।
ইউএনএইচসিআরের কর্মকর্তারা আরও জানান, ট্রানজিট ক্যাম্পে অবস্থানরত ৪ পরিবারের সদস্যরা ভাসানচরে ছিলেন। গত ৫ মে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের মিয়ানমারের রাখাইন পরিদর্শনে যাওয়ার আগে ৪ পরিবারের সদস্যদের ভাসানচর থেকে নিয়ে আসা হয় ট্রানজিট ক্যাম্পে।