ভারতের উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন শহর ও নগর থেকে ৭৪ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবৈধভাবে বসবাস করায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
কিন্তু সহিংসতা থেকে বাঁচতে ভারতের আশ্রয় নেওয়া ওই সব রোহিঙ্গাদের কেউ কেউ প্রায় ১০ বছর ধরে সেখানে বসবাস করছেন। তাদের একটা অংশ সেখানে ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ্য পরিষ্কারের মতো কাজ করে থাকেন বলে দাবি করেছে একটি মানবাধিকার সংগঠন।
সোমবার (২৪ জুলাই) সংশ্লিষ্ট পুলিশ জানায়, উত্তর প্রদেশের ছয়টি শহর ও নগর থেকে এসব রোহিঙ্গা মুসলমানদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের ১০ জন কিশোর-কিশোরী।
দিল্লিভিত্তিক রোহিঙ্গা হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভের পরিচালক সাবার কিয়াউ মিন বলেন, এসব রোহিঙ্গাদের অবৈধ বলা অন্যায়। তাদের অনেকে ১০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে ভারতে বসবাস করছেন। তারা পরিশ্রম করে জীবন চালান। তাদের অনেকে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ করেন।
রোহিঙ্গা হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভের তথ্যমতে, গত বছরের শুরু পর্যন্ত ভারতে প্রায় ১৮ হাজার রোহিঙ্গা বসবাস করে।
ভারত জাতিসংঘের ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশনে সই করেনি। তাই দেশটি শরণার্থীপ্রত্যাশীদের আশ্রয় দিতে বাধ্য নয়।
কিন্তু ওই কনভেনশনে সই না করেও বিশ্বের অনেক দেশ নিজস্ব আইনে শরণার্থীপ্রত্যাশীদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থা রাখে। ভারতে তাও নেই।
বাংলাদেশও জাতিসংঘের ওই কনভেনশনে সই করেনি। তারপরও বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীপ্রত্যাশীকে আশ্রয় দিয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স